রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৩১ pm
সারোয়ার হোসেন :
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এবার রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি সম্পাদকের পদ থেকে ডজন খানের নেতাকর্মী কেন্দ্রে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে এবার সভাপতি পদের চেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদেই তোড়জোর বেশি লক্ষ্য করা হচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে যুবলীগ নেতাদের মধ্যে চাঞ্চলতা ফিরে এসেছে।
এবার সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রথম সারিতে আছেন বেশ কয়েকজন যুবলীগ নেতা। এরমধ্যে একজন মুকুল শেখ। অন্যান্য যুবলীগ নেতাদের মধ্যে সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের মধ্যে মুকুল শেখ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের হলেও তার এক ভাই বিএনপির নেতা হওয়ায় নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে মুকুল শেখের ভাই জীবনের ছবি ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমত যুবলীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানা গুঞ্জন, আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মুকুল শেখের ছোট ভাই জীবন শেখ এলাকার নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন। মিছিলের ঠিক মধ্যে থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন শ্লোগান দেন। শুধু ১ সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভ সমাবেশই নয়, বিএনপির সরকার পতন আন্দোলনে প্রতিটি বিক্ষোভ মিছিলসহ সভা সমাবেশে তিনি উপস্থিত থাকছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়া জীবন শেখের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে মহানগর যুবলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেয়া দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে যুবলীগের একাধিক নেতা জানান, মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে মুকুল শেখ সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি। মুকুল শেখ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করলেও তার ভাই জীবন জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করছেন। একই পরিবারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আবার জিয়াউর রহমানের আদর্শ কিভাবে সম্ভব। যুবলীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, মুকুল শেখ তার পুরো পরিবারকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত করতে পারেন নি। কিন্তু তিনি দাবি করেন, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিবার। তার হাতে গুরুত্বপুর্ণ রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি গেলে বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা হবে। কারণ খোদ তিনি নিজের ভাইকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নি। তিনি কি করে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের মত এতো বড় গুরুত্ব পদ বহন করবে।
মহানগর যুবলীগের সিনিয়র নেতারা বলছেন, একই পরিবারে দুই আদর্শ। এটা চেতনা বিক্রি ছাড়া আর কিছুই নয়। মুকুল শেখের পরিবারে অনেকেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শের নেতা রয়েছে। সেই জায়গা থেকে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার আগে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতাদের বিষয়টি ভাবা দরকার।
যুবলীগের সিনিয়র নেতারা আরো বলছেন, এবার মহানগর যুবলীগের নেতৃত্বে তারা ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে দেখতে চান। তারা দেখতে চান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিককে। বিতর্কিত কোনো নেতৃত্ব তারা দেখতে চান না। একই সাথে কেন্দ্রের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে মহানগর যুবলীগ নেতাকর্মীরা আশা করছেন এবার ক্লিন ইমেজ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ব্যক্তি হবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এব্যাপারে মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মুকুল শেখ বলেন, জীবন আমার ভাই। তবে সে কোন মতাদর্শের সেটা তাকেই জিজ্ঞাসা করেন। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই। রা/অ