শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৫৪ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা : সাকি তানোরে আলু বীজে মহাসিন্ডিকেট, দ্বিগুন দামে দিশেহারা চাষীরা! দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিক সরকারের দাফন সম্পন্ন দুর্গাপুরে বিএনপি’র আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপিত মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল
সৌখিন মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের প্রতারণা!

সৌখিন মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের প্রতারণা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সজল ফিসারিজের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তিনি সৌখিন মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ২৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে গুঞ্জন বইছে।

স্থানীয়রা জানান, তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবুর দিঘি রয়েছে। সম্প্রতি দীঘিতে টিকিট কেটে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের জন্য বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের ব্যাপক প্রচারণা করা হয়। দীঘির চার ৫৮টি চৌকি বসানো হয়। প্রতিটি চৌকির মুল্য ৪০ হাজার টাকা। সেই হিসেবে প্রায় ২৩ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। অথচ দীঘি থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার মাছ উঠেছ। গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুইদিন মাছ শিকার আয়োজন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ও ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিভিন্ন এলাকার সৌখিন মৎস্য শিকারীরা মাছ শিকার করতে দিঘিতে হুইল-বড়শী ফেলেন। কিন্ত্ত কেউ বড় মাছ শিকার করতে পারেনি, এমনকি বেলে ও পুঁটি মাছ হুইলে উঠেছে, অন্য মাছের ওজন সর্বোচ্চ তিন কেজি, ৪০ হাজার টাকার টিকেট কেটে দুদিনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মাছ পেয়েছে। অথচ বলা হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের মাছ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ও বহিরাগত একাধিক সৌখিন মৎস্য শিকারী বলেন, মাছ ধরা বা না ধরা কোনো বিষয় না, কিন্ত্ত মাছের যে ওজন তাতে চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কারণ ১০ কেজি ওজনের একটি মাছও যদি কেউ শিকার করতে পারতেন তাহলেও বুঝতাম দিঘিতে বড় মাছ আছে। তারা বলেন,এ ঘটনায় সৌখিন মৎস্য শিকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী বলেন, এই দিঘিতে বড় মাছ নাই, তারা সৌখিন মাছ শিকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

কারণ সৌখিন মৎস্য শিকারিরা শখের বসে বড় মাছ শিকার করতে টিকেট কেটেছেন, তবে মাছের সাইজ দেখে বোঝা গেছে এটা প্রতারণা। তারা টিকিটের মুল্য ফেরত ও আয়োজকদের শাস্তির দাবি করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাছ শিকারী সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু একটি মহল অবৈধ সুবিধা না পেয়ে এসব অপপ্রচার করছে। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.