শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৩৩ pm
ডেস্ক রির্পোট : আর মাত্র দুটি দিন। এরপরই শুরু হবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচন ঘিরে আজ বুধবার সর্বশেষ যৌথ জনমত জরিপের ফল প্রকাশ করেছে এবিপি আনন্দ ও সিএনএক্স। এতে বলা হয়েছে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাড়তে পারে বিজেপির আসন। তবে এগিয়ে থাকতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। এর আগের তিনটি জরিপের ফলেও তৃণমূলের এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত মিলেছিল।
২৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে। ওই দিন পাঁচ জেলার ৩০টি আসনে নির্বাচন হবে। ৮ দফায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে সর্বশেষ ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৯ এপ্রিল। ২ মে একযোগে ঘোষণা করা হবে ভোটের ফল।
প্রথম দফার ভোটের লড়াই সামনে রেখে আজ প্রকাশিত এবিপি আনন্দ ও সিএনএক্সের চতুর্থ ও চূড়ান্ত দফার জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয় পেতে পারে ১৩৬ থেকে ১৪৬টি আসনে। বিজেপির ঝুলিতে যুক্ত হতে পারে ১৩০ থেকে ১৪০টি আসন। অন্যদিকে ১৪ থেকে ১৮টি আসনে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের। অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিততে পারেন ১ থেকে ৩টি আসনে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে এবারের ভোটের লড়াই কতটা তীব্র হতে যাচ্ছে।
সর্বশেষ জরিপের ফল বলছে, এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৪০ শতাংশ ভোট পেতে পারে। অন্যদিকে বিজেপির ঝুলিতে ৩৮ শতাংশ ভোট যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট পেতে পারে ১৬ শতাংশ ভোট।
চতুর্থ দফার জরিপটি রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের ১১ হাজার ৯২০ জন ভোটারের মতামতের ভিত্তিতে করা হয়েছে। ১২ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এই জরিপ করা হয়।
এবিপি আনন্দ ও সিএনএক্সের আগের তিনটি জরিপের ফলেও তৃণমূলের জয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল। বলা হয়েছিল, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তীব্র লড়াই সত্ত্বেও জিততে পারে তৃণমূল। শেষ হাসি হাসবেন মমতা। টানা তৃতীয় মেয়াদে মমতাই হবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় জরিপটি চালায় এবিপি আনন্দ ও সিএনএক্স। ১৫ মার্চ প্রকাশিত জরিপের ফলে বলা হয়, ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১৫০ থেকে ১৬৬টি আসন। ৯৮ থেকে ১১৪টি আসনে বিজেপি আর ২৩ থেকে ৩১টি আসেন বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট জিততে পারে। অন্যরা পেতে পারে ৫টি আসন।
২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত দ্বিতীয় জরিপের ফলে তৃণমূলের ১৪৮ থেকে ১৬৪ আসনে জয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল এবিপি আনন্দ ও সিএনএক্স। এতে আরও বলা হয়, বিজেপি ৯২ থেকে ১০৮ আসনে জয় পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৩১ থেকে ৩৯টি আসন।
আর ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রথম দফার জরিপে বলা হয়েছিল, তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬২টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৯৮ থেকে ১০৬টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২৬ থেকে ৩৪টি আসন।
সেই হিসাবে, ভোটের লড়াই যত এগিয়ে এসেছে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জনপ্রিয়তা তত বেড়েছে। চাপ বেড়েছে তৃণমূলের। এর পরও চতুর্থ দফার জরিপে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। মিলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত।
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে সবশেষ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্য ২১১টি আসনে জয় পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেন মমতা। বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৭৭টি আসন। আর বিজেপি মাত্র ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল।
মমতার দ্বিতীয় মেয়াদে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে রীতিমতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের তানোর