সমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৫৬ am
ডেস্ক রির্পোট :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি আর মহা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় একটি মন্দির নির্মাণ করা হলে একই এলাকায় একটি মসজিদ হয় আর একটি মসজিদ নির্মাণ করা হলে একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করাটা বাধ্যতামূলক কাজে পরিণত হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখা এবং সবাইকে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যেতে আওয়ামীলীগ সরকার বিগত সময়েও কাজ করেছে, এবারও করছে এবং আগামীতেও সকলের কল্যাণে কাজ করে যাবে।
আজ বান্দরবান সদরে রাজার মাঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মহতী ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছিলেন এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরও বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি আর দেশব্যাপী মহা উন্নয়ন বলয় সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৭ কোটি মানুষের শান্তির অন্বেষায় বিরামহীনভাবে এগিয়ে চলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্ণধার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই আওয়ামীলীগ সরকার সকল ধর্মের সম্প্রীতি অটুট রাখাসহ দেশের মহা উন্নয়নের বলয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। মন্ত্রী বীর বাহাদুর সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়ন কাজে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার যতবরাই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে আর সকল ধর্মের উৎসবগুলো যাতে সুন্দর ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি বলেন, আগে পার্বত্যবাসীদের চলাচলের পথ ছিল খুবই দুর্বিসহ। আওয়ামী লীগ সরকার রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট তৈরি করে দিয়ে সম্প্রীতির নগরী পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে কৃষি, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা ও যাতায়াত ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক আধুনিক ও উন্নত হয়েছে। পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি গর্বের সাথে বলেন, পার্বত্য এলাকার নবপ্রজন্ম আধুনিক ও শিক্ষিত জাতির অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে এগিয়ে যাবে।
মহতী ধর্মসভায় বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অঞ্জন কান্তি দাশ এর সভাপতিত্বে বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাহআলম ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মনজুরুল হক, মো.ফজলুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, পৌরসভার মেয়র সামশুল ইসলাম , হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের ট্রাষ্টি অমল কান্তি দাশ, বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ দাশ, বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজসহ সরকারী বিভিন্ন দফতরের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং সনাতনী সমাজের নেতৃবৃন্ধরা উপস্থিত ছিলেন।
মহতী ধর্মসভা শেষে বান্দরবানে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত গীতাপাঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। রা/অ