শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৪৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সম্প্রতি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলাকালীন সময়ে আন্দোলনকারিদের সঙ্গে বহিরাগতদের হামলার জেরে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এতে সর্ব মহলে ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা নীতিমালা বহির্ভূত হওয়ার দাবীতে নোটিশটি গ্রহণ করেন নি প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।
গত ২৩ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে মহাসড়কে মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয়ে ঢুকে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেন কাজি হাবিবুর রহমান মিঠু। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের সঙ্গে আন্দোলন কারিদের রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে কাজি হাবিবুর রহমান মিঠু গুরুতর ভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বিদ্যালয়ে সংঘর্ষ চলাকালিন সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী প্রামাণিক এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক সহিদুজ্জামান। এসময় তাদের উপস্থিতে এধরণের ঘটনাসময় তাদের নিরব ভূমিকা পালনে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়। খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ দ্রƒত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সহিদুজ্জামান বলেন আমার কোনো প্রকার ইন্ধন ছিলনা। আমি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। এদিনের ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয়া হলে আরো বড় ধরণের সংঘাত বাাঁধার সম্ভাবনা ছিল।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী প্রাং বলেন প্রধান শিক্ষক কেন্দ্রিক ঘটনায় দুই গ্রƒপের মধ্যে সংঘর্ষ। প্রধান শিক্ষক অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন। সেদিন প্রধান শিক্ষক এবং মিঠুর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী আমি তাদের ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। প্রধান শিক্ষকের আহবানে জরুরী কমিটির মির্টিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি মিটিং আহবান করলেও উপস্থিত ছিলেন এবং নোটিশ গ্রহণ করেন নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এদিন সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং সভপতি উপস্থিতিতেই এসব কিছু ঘটেছে। উনারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তমুলক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং কাজ করা হচ্ছে। সেখানে কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ি আমার এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির স্বাক্ষরেই টাকা উত্তোলনসহ ব্যয় করা হয়েছে। আমাকে অপসারণ করে আমার জায়গায় অন্য কাউকে বসানোরর মিথ্যা ষড়যন্ত্র চলছে। বিদ্যালয়ের সকল অর্থের আয় ব্যয়ের সঠিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে। মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর কিছুই নাই। যদি তদন্ত আসে সবকিছুর সঠিক প্রমান উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়াও কারণ দর্শানোর নোটিশ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, তারা আমার অনুপস্থিতেই কমিটির মিটিং করে নীতিমালা বহির্ভুত ভাবে আমাকে নোটিশ প্রদান করেছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা নীতিমালা ৩৩/৩ ধারা লংঘন করা হয়েছে। ৩৬/২ ধারা অনুযায়ি এ সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যাবে। এজন্য আমি নোটিশ গ্রহণ করিনাই। রা/অ