শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৫৬ pm
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের এক বাড়িতে শিক্ষক সুকুমারসহ তার কাজ করা শ্রমিকরা জায়গা দখলে নিতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রাচীরসহ বাথরুম ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তানোর পৌর সদর হিন্দুপাড়াগ্রামে গত বুধবার সকালের দিকে ঘটে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি। এঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগামী শনিবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বসার কথা বলেছেন। এতে করে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌর সদর হিন্দুপাড়া গ্রামের মুল রাস্তার দক্ষিণে বসবাস করেন হামলাকারী শিক্ষক সুকুমারের বড় ভাই বিনয়। তার বাড়ির দক্ষিণে পাকা ফ্লাট বাড়ি করে বসবাস করছেন বিনয়ের ছোট ভাই শিক্ষক সুকুমার। সেখানে ভাঙ্গা দেয়াল ও পড়ে থাকা ইটের ছবি তোলার সময় বিনয়ের বাড়ির মহিলারা বলেন, হঠাৎ গত বুধবার সকালের দিকে শিক্ষক সুকুমার দলবলসহ বাড়ির প্রাচীর ও বাথরুম ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলে। আমরা অনুরোধ করি গ্রামের মোড়লদের নিয়ে বসে আপোষ মিমাংসার করে জায়গা পেলে ছেড়ে দিব। কিন্তু একজন শিক্ষক হয়ে দলবল লাঠিসোঁটা এনে জোরপূর্বক ভেঙ্গে ফেলবে এটা কোন আচরণ। বাথরুমের দেয়াল এমন ভাবে ভেঙ্গেছে যাওয়ার কোন উপায় ছিল না বাধ্য হয়ে টিন দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। সামান্য জায়গা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সুকুমার। বিনয় যে তাঁর বড় ভাই এসবের কোন দাম নেয় শিক্ষকের কাছে। শিক্ষক নাকি মানুষ গড়ার কারিগর। হামলা ভাংচুর করা কি শিক্ষকের কাজ বলে আক্ষেপ করা হয়।
তাদের সাথে কথা বলতেই শিক্ষক সুকুমারের স্ত্রী বলেন, বিগত প্রায় ৬/৭ বছর আগে বজেনের কাছ থেকে আমার স্বামী হাপ শতক জায়গা কিনেন এবং স্বামীর বড় ভাই কিনে ৩ শতক জায়গা। কিনার পর থেকে আমাদেরকে দখল দেয় না। গত বুধবারে মিস্ত্রি ডাকা হয় কাজ করার জন্য। তারা বাঁধা দিলে ভেঙ্গে ফেলা হয়। উভয়ে থানায় অভিযোগ করে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ বৃহস্পতিবারে এসে বলে গেছে যেভাবে জায়গা আছে সেভাবে থাকবে আগামী শনিবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হবে। আমার স্বামী বাহিরে আছে। জায়গা ভাঙ্গার কারণে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছেন এবং রড দিয়ে মারতেও আসছে।
স্থানীয়রা জানান, জায়গাটি শিক্ষক সুকুমারের। কিন্ত তিনি এভাবে দলবল এনে ভাংচুর করা ঠিক হয়নি। কারণ শিক্ষক সুকুমারের আপন বড় ভাই বিনয়। তিনি শিক্ষক হয়ে কেন হামলা ভাংচুর করবেন। আইন আদালত সবকিছুই আছে। শিক্ষক যদি হামলা করে আপন ভায়ের বাড়ি ভাংচুর করে তাহলে কি বলার আছে। আবার জায়গার পরিমানও বেশি নয় মাত্র হাপ শতক।
থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, তারা আপন ভাই। নিজেদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হতে পারে। এজন্য উভয়কে নিয়ে বসে যদি সমাধান করা যায় সেটাই ভাল হবে। এজন্য আগামী শনিবারের উভয়ের কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকা হয়েছে। সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রা/অ