বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:১৩ pm
ডেস্ক রির্পোট :
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সমস্ত কলকাঠি নেড়েছে জিয়াউর রহমান। আর পেছনে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাস করে অপশাসন শুরু করেন। জিয়াউর রহমান স্বজ্ঞানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেন। নিজের ক্ষমতা দখলে রাখতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে?
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন লিটন।
লিটন বলেন, জিয়াউর রহমান হ্যা/না এর প্রহসনের ভোট করেছিলেন। জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেই বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। এই জাল দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না, আওয়ামী লীগকে উৎপাটন করা যাবে না। লন্ডন থেকে তারেক জিয়া যে স্বপ্ন দেখছে, বিএনপি ক্ষমতায় আসার সে স্বপ্ন দেখছে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ বাংলার মাটিতে তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেব না
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে লিটন বলেন, বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা আন্দোলন মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু তারা যদি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করে, মানুষকে আঘাত করে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, তাহলে আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন, সেই হাত ভেঙে দেয়া হবে, সেই হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এই কয়েকটি মাস আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে। নেত্রী আছেন সংসদে, আমরা আছি রাজপথে। নেত্রীর এতো উন্নয়ন, এটি মানুষ ভুলে যেতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে দ্রব্যের দাম সাময়িক বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতি করে লাভ নাই। দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কমে যাবে। মানুষের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাসিক মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। পর্যাপ্ত বিদুৎ উৎপাদন হচ্ছে, পদ্মাসেতু নির্মাণ হয়েছে, কর্নফুলী টানেল নির্মাণ হচ্ছে, অসংখ্য সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ হয়েছে। এগুলো উন্নয়নের সূচক। দানাদার খাদ্য শস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের ভয়ের কিছু নেই। আমরা এগিয়ে চলেছি। এগিয়ে যাব।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. কে.এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।
সভা সঞ্চালনা করেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ তালুকদার। শোক ও স্মরণ সভায় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী সহ হাজারও মানুষ অংশ নেন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন