সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের পরাজিত এক কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে প্রসাব করে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার দিবাগত রাত ৮টা ১৮ মিনিটে রাসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। রুবলে ১১ হাজার পিচ ইয়াবা ও অস্ত্রসহ এর আগে ধরা পড়েছিলেন রুবেল। তিনি বেশ কয়েক মাস জেলা হাজতেও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও রয়েছে। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে গত সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ নেন। তবে বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির কাছে পরাজিত হন রুবে। এ নিয়ে পর পর দুই নির্বাচনে মতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হয়েছেন এলাকার সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত জহিরুল ইসলাম রুবেল।
সোমবার এ ঘটনার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সরবরাহ করে বর্তমান কাউন্সিলর বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মতিউর রহমান মতি দাবি করেছেন, পরাজিত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেল এসে এভাবে প্রসাব করে গিয়েছেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রবিবার রাত ৮টা ১৮ মিনিটে রুবেল তার ব্যবহৃত লাল রঙের প্রাইভেটকার নিয়ে এসে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে থামেন। এরপর গাড়ি থেকে নেমে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের প্রধান ফটক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে প্রসাব করতে থাকেন। ওই সময় কাউন্সিলরের কার্যালয়ের ফটক দিয়ে শিশু কোলে এক নারীসহ কয়েকজন ব্যক্তি বের হয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার পরেও নিজেকে সংবরণ করেননি রুবেল। ফটকের সিঁড়িতে দাঁড়িয়েই সবার সামনেই প্রসাব করতে থাকেন রুবেল। প্রসাব শেষ করে পরে ওই গাড়িতে করেই চলে যান রুবেল।
কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি বলেন, ‘রুবেল দুইবার আমার সঙ্গে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছে। এলাকায় সে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। সে রাতে আমার অফিসের গেটে এসে প্রসাব করেছে। যেহেতু এটা সিটি করপোরেশনের অফিস, আমি আগে এটা করপোরেশনকেই অবহিত করেছি। এটা নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করব।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রুবেল এখন কোন দলের কোন পদে নেই। আগে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত মহানগর বিএনপির নেতা শফিকুল ইসলাম ওরফে কানা শফিকের সঙ্গে চলতেন। পরে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু করেন। এলাকায় তিনি যুবলীগের নেতাও পরিচয় দেন। হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে রুবেলের বিরুদ্ধে অন্তত হাফডজন মামলা রয়েছে। জমি দখলের অসংখ্য অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
এবার মামলা ও গাড়ির তথ্যসহ নানা তথ্য গোপন করে তিনি সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হন। তারপরও তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়নি। ভোটে পরাজয়ের পর কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে এভাবে প্রসাব করার বিষয়ে কথা বলতে সোমবার কয়েকদফা রুবেলকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রা/অ