বুধবা, ১১ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৫:৫৪ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মো: ফারুক হোসেন নামের এক শারীরীক প্রতিবন্ধীর জায়গা দখল ও মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২১ মার্চ রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছে প্রতিবন্ধী ফারুক হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে গোদাগাড়ী উপজেলার সাহাপানিয়া গ্রামের মিয়াজির ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০) ও তার ভাই আশারাফুল (৩৫), ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নাসিরুল ইসলাম কানার ছেলে শুভ, মৃত লালু বোনার ছেলে রাকিব রানা, মৃত মুনতাজ আলীর ছেলে হযরত আলীর ছেলে (ভুট্টু) ও নজরুল ইসলামের ছেলে বাবর আলী মিলে তার জায়গাটি দখল করে ও মারধর করে। তবে বিবাদী সাইফুল ইসলাম জানান, সেদিন কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। যে জায়গাটি ফারুকের ছিল রাস্তা সম্প্রসারণ হওয়ায় সেই জায়গাটি রাস্তার ভিতরে চলে গেছে এখানে তার কোন মাটি নেই। আমার মাটিতে দোকান করতে আসলে বাধা দেই তাকে।
২০০৮ সালের দিকে ভূটভূটি গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা ভেঙ্গে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়লে গত প্রায় ১২ বছর ধরে ফারুক হোসেন রেলওয়ের মাটির উপরে মুদিখানা দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলো। কিন্তু রাস্তার কাজের জন্য মুদিখানা দোকানটি ভেঙ্গে সরিয়ে রাখে। অভিযুক্তরা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত ১২ মার্চ বিকেল ৪ টার দিকে জোর পূর্বক দোকান ঘরের মাটি দখল করে নেয়। এরই পেক্ষিতে গত ১৮ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে গোদাগাড়ী মডেল থানায় অভিযোগ করে।
সেই রাতেই ৯ টার দিকে প্রতিবন্ধী ফারুক দোকানের জায়গাটির পাশে গেলে ফারুক ও তার বউয়ের ভাই মনিরুল ইসলামকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে কিলঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে শুইয়ে মারধর করে ও প্রতিবন্ধী ফারুককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। মারধরের ফলে অসুস্থ হয়ে তারা গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রতিবন্ধী ফারুক জানান, সড়ক দুর্ঘনার পর হতে কোন কিছু করা তার পক্ষে সম্ভব না। এই দোকানের উপর নির্ভর করে সংসার চালিয়ে আহার রুজির ব্যবস্থা হয়। জায়গাটি হাতছাড়া হয়ে গেলে পথে বসতে হবে বলে জানান। তাই তিনি এর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন। স্থানীয় ভাবেও বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নিলেও অপর পক্ষ তাতে সায় দেয়নি বলে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ পেলে আমার সংশ্লিষ্ট থানার ওসি বা সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) কে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে থাকি। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অপর প্রান্ত হতে ফোন রিসিভকারী জানান, ডিসি স্যার মিটিং এ ব্যস্ত আছেন। মিটিং শেষে তাকে বিষয়টি অবহিত করবেন বলে তিনি জানান। আজকের তানোর