শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৬ am
বাগমারা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারায় সেই জোঁকাবিলের বিরোধ নিয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তি হলেন শহিদুল ইসলাম ভুট্টু (৪২)। তিনি নরদাশ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও হাটমাধনগর গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ নেতা হাটমাধনগরে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনিছার হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি আশরাফ আলী, আফসার হোসেনের নেতৃত্বে ১০/১২জন ব্যক্তি তাঁকে ঘিরে ফেলেন। এ সময় জোঁকাবিলের মৎস্যচাষ প্রকল্পের পক্ষে কেন অবস্থান নিয়েছেন এ নিয়ে কৈফিয়ত চান। একপর্যায়ে তাঁরা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে জখম করে। অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যান। পরে আশপাশের লোকজন ভুট্টুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিবুর রহমান আহত ভুট্টুর দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, আলোচিত জোঁকাবিলের মৎস্যচাষ প্রকল্পের পক্ষে অবস্থান নেওয়াতে তাঁকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এই বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা যায়, জোঁকাবিলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ২০১৮ সালে প্রতিপক্ষের লোকজন আনিছুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেন। তিনি ওই বিলের মৎস্যচাষ প্রকল্পের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ওই হত্যা মামলার প্রধান দুই আশরাফ আলী, আফসার হোসেনসহ অন্যরা জামিনে বেরিয়ে আসেন। তাঁরা পুনরায় বিলের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিভিন্ন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাঁরা আবারো পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে পারেন এমন আশংকায় নিয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা বিলের নিয়ন্ত্রণ নিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।
অভিযুক্ত আফসার ও আশরাফ আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, এই ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।