শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩৭ am
এখন যারা তরুণ। যাদের বয়স ২০ বছরের কম। যারা ২০০৪ সাল দেখেননি। যারা দেখেননি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। তারা যখন ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সংবাদ বা ভিডিও দেখেন অথবা ভুক্তভোগী কারও কাছ থেকে শোনেন সেই দিনের গল্প, তখন তাদের স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়। শুধু তারা নয়। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়। সারা পৃথিবীতে যাদের মনে সামান্য মানবতাটুকুও অবশিষ্ট আছে তারা যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নাও চেনেন তবুও তাদের অনুভূতি একইরকম হবে। তারা যদি শেখ হাসিনাকে চেনেন, তারা যদি আওয়ামী লীগকে চেনেন, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদেরকে চেনেন, তারা সহজেই বুঝতে পারবেন গ্রেনেড হামলাকারীদের উদ্দেশ্য কী ছিল। তারা সহজেই বুঝতে পারবেন, শুধু শেখ হাসিনা নয় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্যই হামলাকারীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। সবাই যদি আরেকটু দূরদর্শী হন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন, এই হামলা যেনতেন কোনও হামলা নয়; একটি নির্দিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর ওপর দায় চাপালেই হয় না; এখানে রাষ্ট্র সরাসরি জড়িত। রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কহীনভাবে এতবড় হামলা সম্ভব নয়। সরকারের সাথে সম্পর্কহীনভাবে এ হামলা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা এর সাথে সরাসরি জড়িত।
রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিরা তখন কারা ছিলেন? বিএনপি-জামায়াত তথা চার দলীয় জোট তখন রাষ্ট্র-ক্ষমতায়। আদালত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার যে রায় দিয়েছেন তাতে সেই সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই রায় হয়েছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের কারণে ফাঁসি হওয়ায় জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান মুজাহিদকে এই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মুফতি আবদুল হান্নানকেও অন্য মামলায় ফাঁসি হওয়ায় মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
নামগুলো থেকেই বোঝা যায় কতবড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল ওই দিনকে সামনে রেখে।
সেদিন কি হয়েছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে? বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এদিন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশ করছিল আওয়ামী লীগ। যে ট্রাকটিকে (ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৩০৯৮) উন্মুক্ত মঞ্চ করা হয়েছিল, সেটিকে ঘিরে সেদিন শনিবার বিকেল ২টা থেকেই দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভিড় করছিলেন। পুরো এলাকা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগানে মুখরিত ছিল। বিকেল ৫টায় সমাবেশ স্থলে আসেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বিকেল ৫টা ২ মিনিটে মঞ্চে উঠে বক্তব্য শুরু করেন। টানা ২০ মিনিট বক্তব্য দিলেন। বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে নিজেই জয় বাংলাৃজয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে হাতে থাকা একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে মাইক নামাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই শুরু জঘন্যতম সময়ের মুহূর্ত। বিকট শব্দের কেঁপে উঠল মঞ্চটি। এরপর একে একে আরও বেশ কয়েকটি জোরালো শব্দ, চারদিকে ধোঁয়া। এর মাঝ থেকে ছুটে আসছে শত শত মানুষের আর্তনাদ। রাস্তায় পড়ে আছেন আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী-সমর্থক। ট্রাকের ওপর মানব দেয়াল ঢেকে রেখেছে বাংলাদেশের স্থপতির মেয়েকে। মঞ্চের দক্ষিণ পাশ থেকে ছোড়া একটি গ্রেনেড একেবারে কাছে এসে পড়ে। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় গ্রেনেডটি। মঞ্চ টার্গেট করে দক্ষিণ পাশ থেকে একের পর এক গ্রেনেড হামলা হতে থাকে। মাত্র দেড় মিনিটে ব্যবধানে ১৩টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ হয় সমাবেশ স্থলে। মানব দেয়ালে ঢাকা শেখ হাসিনা।
প্রতিটি সেকেন্ড হাজার বছরের সমান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে নেয় হয় তার বুলেট প্রুফ গাড়িতে। সেখানেও গুলি। গাড়ি চলে সুধা সদনের দিকে।
সে সময় ফেসবুক ছিল না। ইউটিউব ছিল না। এফএম রেডিও ছিল না। মুঠোফোনও সবার হাতে ছিল না। কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও বাংলাদেশ বেতারই ছিল ভরসা। সেদিন যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই খবর পেয়েছিলেন, তারা টেলিভিশনের সামনে স্তব্ধ হয়ে দেখেন হাজার হাজার মানুষের জুতা-স্যান্ডেল, রক্ত, কারও পায়ের গোড়ালী, কারও আস্ত হাত-পা, কেউ মরে পড়ে আছে। কাকে হাসপাতালে আগে নিতে হবে? যে মারা গেছে তাকে নাকি যার এখনও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে তাকে। উদ্ধারকারীরা বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাংবাদিক পুলিশ আসেনি সেদিন। কেউ চিৎকার করছে। নেত্রী আদৌ বেঁচে আছেন কিনা নিশ্চিত হবার জন্য কিছু মানুষ শুধু টেলিভিশনের চ্যানেল চেঞ্জ করেন। তাদের মনে শঙ্কা। আইভি রহমান যেন স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন। বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন বোঝার উপায় নেই। তাকে বাঁচাতে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে তৎপর নেতা কর্মীরা। তারাও কেউ কেউ অঝোরে কাঁদছেন। চারদিকে মানুষের আর্তনাদ। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ তখন মৃত্যুপুরী।
এটি আরেকটি আগস্ট। ২৯ বছর আগের আগস্টের দুঃসহ স্মৃতি যাদের তাড়া করে। তাদের মনে শঙ্কা জাগে সব শেষ হয়ে যায়নি তো? আওয়ামী লীগকে যারা ভালোবাসেন তারা খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন শেখ রেহানার। সবাই যখন নিশ্চিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা আহত হলেও বেঁচে আছেন। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরের মানুষ ফুঁসে ওঠেন, আর্তনাদ রূপ নেয় আর্তচিৎকারে, আর্তচিৎকার রূপ নেয় প্রতিবাদে-দ্রোহে। সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও তার কান ও চোখ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেদিন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের পা গ্রেনেডের আঘাতে উড়ে যায়। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা কর্মী ওই হামলায় নিহত হন। স্প্লিন্টারের আঘাতে ৩শ’র বেশিজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে অনেকের জীবনযাপন দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
হামলাটি চালায় হরকাতুল জিহাদ নামে একটি জঙ্গি সংগঠন (হুজি)। ‘হাওয়া ভবনে’ তারেক রহমান হামলার পরিকল্পনা করেন। ওপরে উল্লেখিত ব্যক্তিরা সহ রাষ্ট্রের আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, কাশ্মিরভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন, হিজবুল মুজাহিদিন, তেহরিক জিহাদ-ই ইসলাম, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং মিয়ানমার ভিত্তিক রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) সহ বেশ কয়েকটি বিদেশি গোষ্ঠী এর সাথে জড়িত ছিল।
আক্রমণের লক্ষ্যটি সহজ ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যা করে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মূল করা। এটি বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার একটি ছিল। এটি ছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট ছিল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্মূল করার জন্যই এই হামলা চালানো হয়। হামলার পর আহতরা যখন আর্তনাদ করছে সাহায্যের জন্য, তখন পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদে মিছিল বের করলে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ ও আহতদের লাঠিচার্জ করে খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়। এমনকি সাবান মিশ্রিত পানি ঢেলে আলামত পর্যন্ত নষ্ট করা হয়। এই অপারেশনের নাম ছিল, ‘লাইট স্ন্যাক্স ফর শেখ হাসিনা’।
ঘটনার পরদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, সাবের হোসেন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ রমনা থানায় গেলে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়, মামলা নেওয়া হয় না। পরে মামলা হলেও চলে বিচারের নামে প্রহসন। প্রথমে গ্রেফতার করা হয় শৈবাল সাহা পার্থ নামের এক তরুণকে। ক’দিন পর মগবাজার এলাকার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা মোখলেছুর রহমানকে। তাদের ফাঁসাতে না পেরে পরের বছর ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় জজ মিয়া নামের এক যুবককে। জজ মিয়াকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি।
২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, তিনি আগে কখনও গ্রেনেড দেখেননি; গ্রেনেড ও বোমার মধ্যে পার্থক্য তিনি জানেন না। পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ। প্রথম আলোর কথা সবার নিশ্চয় মনে আছে। শিশির ভট্টাচার্য্যে সেই বিখ্যাত কার্টুন, ‘আষাঢ় মাস জমেছে… জমেছে আষাঢ়ে গল্পের আসর’।
২০০৬ সালের পর সিআইডি আর জজ মিয়াকে নিয়ে এগোতে পারেনি। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অব্যাহতি দেওয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেফতার হওয়া জজ মিয়া, পার্থসহ ২০ জনকে। সেই জজ মিয়া এখন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক। সামান্য আয়ে স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে কোনও রকমে চলে তার সংসার।
এরপর, ২০০৯ সালের ২২ জুন, গ্রেনেড সরবরাহকারী এবং আক্রমণের পৃষ্ঠপোষকদের শনাক্ত করার জন্য প্রসিকিউশন আরও তদন্তের চেষ্টা করেছিল। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট, আদালত তদন্তের আদেশ দেন এবং নতুন একজন সিআইডি কর্মকর্তাকে এই মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। অবশেষে ২০১১ সালের জুলাই মাসে সিআইডি একটি নতুন চার্জশিট জমা দেয়, যাতে দেখা যায় প্রভাবশালী বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী নেতা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা, পুলিশ, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) ২১ আগস্ট হামলায় জঙ্গি সংগঠন হুজির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণা করেন। ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সদস্য। এছাড়া রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট, ২০০৪ এর ২১ আগস্ট ও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। আমাদের ভাবতে হবে এই আগস্টকেই কেন বাববার হামলার জন্য বেছে নেওয়া হয়। দেশি-বিদেশিদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকলেও আগস্টের এসব ঘটনায় তারা নিশ্চুপ থেকে মানবাধিকারের নীতিবাক্য শোনান। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এমন কোনও পরিস্থিতি, এমন কোনও অস্থিতিশীলতা তৈরি করা যাবে না, যাতে আমাদের অগ্রযাত্রার পথ বাঁধাগ্রস্ত হয়। অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু গারবারিনো কংগ্রেসম্যানের সম্মানে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি-আমেরিকান প্রবাসীদের একটি শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বলেন ‘অর্থনীতিতে বাংলাদেশ যে প্রবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে, জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সর্বোপরি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে তার যে ভূমিকা, তা অন্যান্য দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় হবে।’
আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য দক্ষ ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
আজ ২১ আগস্ট। নারকীয় সেই গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর। এখনও জড়িতদের শাস্তি কার্যকর হয়নি। বিশেষত যাদের ফাঁসির রায় হয়েছে। জাতি এই ঘৃণ্য অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় আছে। উচ্চ আদালত এই রায় বহাল রেখে অপরাধীদের চূড়ান্ত শাস্তির নিশ্চিত করবে বলেই জাতি প্রত্যাশা করে। সেই সাথে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার শাস্তিও নিশ্চিত করবে বলে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে।
লেখক: ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন; বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ; সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি); পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল); সভাপতি, এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি); সহ-সভাপতি, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, সূত্র :বাংলা ট্রিবিউন