সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৪৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ৭.৮.৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী মেম্বার মোসা. রশিদা বেগমের বিরুদ্ধে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে টাকা নিয়ে হয়রানির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগিরা হলেন, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ধানোরা গ্রামের মোসা. জোসনা বেগম, একই গ্রামের মোসা. আঙ্গুরী বেগম, মো. মোজাফফর ও চকসাজুড়িয়া গ্রামের মোসা. সুফিয়া বেগম।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীরা জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ৭.৮.৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী মেম্বার মোসা. রশিদা বেগম গত ১ বছর পূর্বে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিবে মর্মে ভুক্তভোগিদের নিকট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেয়। এছাড়াও কিছুদিন পরে কার্ড হয়ে গিয়েছে বলে মোসা. সুফিয়া বেগমের নিকট থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা, মোসা. জোসনা বেগমের নিকট থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা, মোসা. আঙ্গুরী বেগমের নিকট থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা এবং মোজাফফরের নিকট থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন নারী মেম্বার রশিদা বেগম।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, মেম্বারের চাহিদা মত টাকা দেয়ার পরেও তাদের নামে কোন কার্ড হয়নি। ভুক্তভোগিরা টাকা ফেরত চাইলে ইউপি মেম্বার রশিদা বলেন, আমি তোমাদের টাকা ফেরত দিতে পারবো না। আমি একজন ওয়ার্ড মেম্বার, তোমরা আমার কিছুই করতে পারবা না। বেশি বারা বারি করলে আমি তোমার অনেক ক্ষতি করে দিব বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকী দেয় মেম্বার।
এবিষয়ে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী মেম্বার মোসা. রশিদা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে টাকা নিয়ে হয়রানির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কারও নিকট থেকে টাকা নিয়ে কার্ড করে দিইনি। আমি আমার দায়িত্বের মধ্য থেকে জনগণের সেবা করছি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষা পরায়ন হয়ে লুৎফর মেম্বার ও মজিদ নেতা অপপ্রচার করছে। এমন কথা বলে তিনি অন্যদের দায়ী করে কৌশলে এড়িয়ে যান।
ভুক্তভোগির লিখিত অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি তাদের সাথে কথা বলেছি যে সকল অভিযোগ হয়েছে সে অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগিরা নিজেরাই অবগত নন।
অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগিদের সাথে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করে অভিযোগকারীরা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা স্থানীয় ভাবে অনেকবার তাকে টাকা ফেরতের কথা বলি কিন্তু তিনি আমাদের কোনো কথাই শুনেন নি বরং হুমকি দিয়েছেন সব শেষে ন্যায্য বিচারের দাবিতে ২০ আগস্ট তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বার আলাউদ্দিন আলী প্রামানিক বলেন, এমন অভিযোগ আমি মৌখিক ভাবে জেনেছি। বাদি ও বিবাদিকে নিয়ে শিঘ্রই বসে সত্যতা যাচাই পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ