সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৫৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রসার অধ্যক্ষসহ ৪ জামায়াত নেতাকে গভীর রাতে গ্রেফতার করেছেন তানোর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন জামায়াতের আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেন ও সেক্রেটারি ডিএম আক্কাস আলী। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরের দিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদ্য প্রয়াত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাযার নামাজ পড়ার দায়ে ও নাশকতা মামলার আসামী উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভা জামায়াতের আমির প্রভাষক আনিসুর রহমান, মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমির হোসেন, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ও একই এলাকার আবু বক্কর স্কুল এন্ড কলেজের বিএসসি শিক্ষক শরিয়তুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা নাশকতা ও বিস্ফোরণ মামলার আসামী।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেন ও সেক্রেটারি ডিএম আক্কাস আলী বলেন, শুধু এখানে নয় সারা দেশেই এমন গায়েবি অভিযান চালিয়ে নাশকতার ধূয়া তুলসী পাতার বয়ান শুনানো হচ্ছে। আটকের পর ৮৫ ধারায় বিস্ফোরণ মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা জেল জুলুম মামলা হামলা এসব মাথায় নিয়ে পথচলি। বিশেষ করে কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও আবু বক্কর স্কুল এন্ড কলেজের বিএসসি শিক্ষক শরিয়তুল্লাহকে গ্রেফতার করে এধরণের মামলা দেয়া কতটুকু আইন সম্মত জনগণ বিচার করবেন। আর কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই ঘুমন্ত অবস্থায় আটক করে নাশকতার কথা বলা হচ্ছে এসব আর বাংলার তৌহিদী জনতা মানবেনা। কারা নাশকতা করে দেশবাসী সবই জানে। আইন আদালতের উপর আমরা শ্রদ্ধাশীল।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, নাশকতার আশংকা থেকে ও গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আগে থেকে মামলা ছিল। গায়েবানা জানাজার নামাজের জন্য নাকি আটক ও তাদের বিরুদ্ধে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল নাশকতা করার প্রস্তুতি ছিল তাদের। এজন্য গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রা/অ