শনিবর, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩৮ pm
ডেস্ক রির্পোট :
আজ সোমবার বিকাল পাঁচটায় গণসাক্ষরতা অভিযানের সভা কক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী। অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নিহত সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় গণসাক্ষরতা অভিযানে কর্মরত সহকর্মীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি থেকে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবন নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোকপাত করেন। আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ ।
উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের পরেও যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধের আগে এবং পরে বঙ্গবন্ধুর কর্মকান্ড, বক্তব্য এবং নেতৃত্ব বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে। ছয় দফাকে এক দফায় রূপান্তর করেন তিনি এবং তাঁর এক ডাকে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে যুদ্ধের ময়দানে তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। যাঁর কারণে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শেখ সাহেব, শেখ সাহেব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর ৭ মার্চের বক্তব্য ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া প্রমাণ করে তিনি কত বড় একজন নেতা ছিলেন।
আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি রাশেদা কে. চৌধূরী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর শাসন আমলে অসীম সাহস নিয়ে অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করেছেন। দীর্ঘবিরতির পর পরবর্তীতে তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার জাতীয়করণের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট আমি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির চার বাড়ি পরেই পরিবার সহ থাকতাম। আগের দিন আমার স্বামী পেশাগত কারণে চট্টগ্রামে যান। আমার আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে সেদিন একাই বাড়িতে ছিলাম। রাতে যখন গুলির শব্দে আশেপাশে কেঁপে উঠছিল তখন আমি ছোট্ট শিশুকে নিয়ে ভয়ে বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সকাল বেলা জানলাম বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর বাড়ির দিকে যেতে চাইলেও যেতে পারিনি, সেনাবাহিনীর লোকজন পাহারা দিচ্ছিল। ট্যাংকগুলো সবসময় যাতায়াত করছে চারদিকে ভয়ার্ত এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল।”
একবার শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় আমার বান্ধবী নাজমা শামস্ এর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গেলাম। তিনি বললেন, “তোর বান্ধবীও আমার কাছে তোর মতই। তোরা দুপুরে খেয়ে যাবি।” বঙ্গবন্ধু ছিলেন এই রকম বড় হৃদয়ের একজন মানুষ। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মহান হৃদয়ের মানুষ এবং আদর্শিক নেতা।
এ আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তৌফিক হোসাইন চৌধূরী, প্রদীপ কুমার সেন, মনিরুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, আবু রেজা, আবুল বাশার, শামসুন নাহার বেগম, আবদুল কুদ্দুছ প্রিন্স, আরিফুল ইসলাম, জয়া সরকার, সিজুল ইসলাম, মোকসেদুর রহমান জুয়েল, তিস্তা চাকমা, ফারজানা ববি এবং আফরোজা খাতুন। ১৫ আগষ্টে নিহত শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে এবং সকল শহীদদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করে আলোচনা সভা সমাপ্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৫ আগষ্ট ২০২৩ প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এছাড়াও মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে পহেলা আগষ্ট হতে কার্যালয় ভবনে ড্রপডাউন ব্যানার টানানো হয়েছে এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন। রা/অ