বৃহস্পতিবর, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৫৫ pm
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বেসিক ব্যাংকের বরখাস্ত ক্যাশিয়ার তাসনুভা ফেরদৌস ও তার স্বামী গোলাম জাকিরের বিচার দাবিতে মানবন্ধন করেছে ভূক্তভোগিরা। শনিবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধনে ভূক্তভোগিদের অভিযোগ, চেক জালিয়াতি ও জাল স্বাক্ষরসহ নানাভাবে ২৫টি পরিবারের কাছ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন স্বামী-স্ত্রী। তাদের বাড়ি নগরীর দাসপুকুর এলাকায়।
মানববন্ধনে প্রতারণার শিকার নগরীর রামচন্দ্রপুর বাসার রোড এলাকার মায়া বেগম বলেন, বেসিক ব্যাংকের ক্যাশিয়ার তাসনুভা ফেরদৌস আমাকে ধর্ম মা বানিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে তার ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে বললে আমার বিভিন্ন জায়গার সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকে ৭৯ লক্ষ টাকা রাখি। সে পরবর্তিতে চেক জালিয়াতি করে আমার একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয়। পরে আমরা তার জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পেরে তার কাছে গেলে আমার নামেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আদালত তার মামলা খারিজ করে দিয়েছে। পরে আমি তার বিরুদ্ধে আদলতে মামলা করেছি। একই ভাবে প্রতারণা করে হাজরাপুকুর এলাকার নাহিদা নাসরিন লিনা নামের ভূক্তভোগির কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাসনুভা ফেরদৌস ও তার স্বামী গোলাম জাকির। তিনি বলেন, এভাবে তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে ২৫টি পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। টাকা ফেরতসহ প্রতারক স্বামী-স্ত্রীর শাস্তির দাবি জানিয়ে লিনা বলেন, তাসনুভা ফেরদৌস ও তার স্বামী গোলাম জাকিরের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ১৩টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে তারা বেশ কিছুদিন কারাগারেও ছিলেন। ১১টি মামলায় তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। নগরীর রাজপাড়া থানার দুইটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেপ্তার করছে না। উল্টো মামলার বাদিদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
নাহিদা নাসরিন লিনা বলেন, তাসনুভা ফেরদৌস আমার পূর্ব পরিচিত। তার বিপদের জন্য পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তাকে আমি ৫৫ লাখ টাকা দেয়। সে যখন বেসিক ব্যাংকের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখায় কর্মরত। সে টাকাগুলো নিয়ে এভাবে প্রতারণা করবে তা ভাবিনি। আমি এখন সর্বশান্ত হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি আর সে শহরে ফ্ল্যাট কিনে বেড়াচ্ছে। তাসনুভা ফেরদৌস বাংলাদেশে যেন দ্বিতীয় আর না জন্ম না নেয় তার জন্য সর্বোচ্চ দাবি জানাচ্ছি।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, ফেরদৌস ও তার স্বামী গোলাম জাকির পালাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হবে। রা/অ