সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:০৬ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে ‘কৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজে’র লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি থেকে রিজাইন দিয়ে ওই কলেজ কমিটির সভাপতি হয়েছেন পাঁচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপিত ও পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন। এতে করে লোকসমাজে ও চায়ের স্টলে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েই অধ্যক্ষকে বেকায়দায় ফেলতে তিনি কলেজের অর্থ পরিচালনা কমিটি থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রমে রামরাজত্ব কায়েম করেছেন বলে কলেজ কমিটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ওই কলেজেই লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি করতেন। তিনি বর্তমানে চাকুরি ছেড়ে রাজনৈতিক প্রভাবে ওই কলেজেরই সভাপতি হয়েছেন। পরিক্ষার ফলাফলে তানোরে সবার শীর্ষে থাকা কলেজটিতে এমন সভাপতি নিযুক্ত হওয়ায় অভ্যান্তরিন কন্দোল প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। এতে অভিভাবক ছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এলাকায় নতুন করে শুরু হয়েছে নানা গুনজন, ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে কৃষ্ণপুর গ্রামে অবস্থিত ‘কৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজ’। ওই এলাকার শিক্ষা অনুরাগী হিসেবে পরিচিত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান। তিনি কঠোর পরিশ্রম ও নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে কৃষ্ণপুরে প্রতিষ্ঠা করেন কলেজটি। ওই সময় কৃষ্ণপুর গ্রামের জৈনক ব্যক্তির পুত্র আব্দুর মতিনকে ওই কলেজে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ নেন অধ্যক্ষ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক মার প্যাচে বর্তমান সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর নজরে পড়েন তিনি। আস্তে আস্তে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে এলাকায় শুরু করেন রামরাজত্ব।
এরপর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান হয়েও দীর্ঘদিন লাইব্রেরিয়ান পদে থেকে বেতন উত্তোলন করেন তিনি। কিন্তু কলেজে কোন দিনই নিয়মিত হাজিরা দেননি তিনি। পরবর্তীতে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীকে পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি থেকে রিজাইন দিয়ে বিপুল অর্থের বিনিময়ে তার নিজস্ব লোককে ওইপদে নিয়োগ দেন চেয়ারম্যান।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান অধ্যক্ষ আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক সময় উনি আমাকে স্যার বলতেন। এখন উনাকেই স্যার বলে সম্মান বা সমন্ধন করতে হবে বলে কলেজ শিক্ষকদের কাছে গল্প করেছেন সভাপতি। ঠিক আছে সভাপতিকে স্যার বলবো সমস্যা কোথায় বলে আক্ষেপ করেন এই অধ্যক্ষ।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের বর্তমান সভাপতি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, অধ্যক্ষ আতাউর রহমান তার মেয়ে ও জামাইকে নিয়োগ দিয়েছেন কাউকে কোন টাকা পয়সা দেননি। তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ’র কাজ অধ্যক্ষ করবে। এখানে কোন সমস্যা নেই। আতাউর রহমান মারাত্তক দূর্নীতিবাজ ব্যক্তি বটে। এই কলেজে আগে আমার বাবা সভাপতি ছিল। পরে আমার ভাই, বর্তমানে আমি সভাপতি হয়েছি বলে দম্ভোক্তি তিনি। রা/অ