সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৫৬ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি সাবেক জেলা আ.লীগের সভাপতি ও শিল্পপ্রতি মন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথাকথিত মিথ্যা তথ্য বিভ্রাট মূলক খবর প্রকাশের প্রতিবাদে তানোর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (২ আগস্ট) বুধবার শেষ বিকেলের দিকে পৌরসদরের গোল্লাপাড়া বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সাংবাদিক সম্মেলনটি। এসময় উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিবাদ বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার।
বক্তব্যে প্রদীপ সরকার বলেন, সম্প্রতি ৩০ জুলাই গোদাগাড়ী পৌরসভা আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে হট্রগোলের সময় এমপি ফারুক চৌধুরী দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে পৌরসভায় উঠেন। সেখান থেকে পুলিশের পাহারায় তাঁকে বের করা হয়। যা সম্পূর্ণ রুপে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। যা রুপ গল্পকেও হার মানিয়ে ফেলে। আর এই ঘটনাকে একটি চক্র সাজানো নাটকের মত সাজিয়েছেন। এর চেয়ে মিথ্যাচার আর কিছুই হতে পারে না। এমপির জনপ্রিয়তায় ঈষার্নিত হয়ে আ.লীগের কেন্দ্র কমিটিকে ভুলভাল বুঝানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন, যা কখনোই সফল হবে নয়।
কারণ এমপি ফারুক চৌধুরী রাজনীতির মাঠে উড়ে এসে জুড়ে বসেন নি। তিনি বিগত ২০০১ সাল থেকে অদ্যবধি দল ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। প্রদীপ সরকার আরও বলেন, তানোর-গোদাগাড়ী এক সময় বিএনপি-জামায়াত অধ্যাষিত এলাকা ছিল। সেই বিএনপির ঘাঁটি ভেঙ্গে তচনছ করে আজকে তানোর-গোদাগাড়ীকে আ.লীগের ঘাঁটিতে পরিণত করে দলকে নতুন রুপ দিয়েছেন। তিনি পালিয়ে যাওয়া নেতা নয়, তিনি কর্মীদের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করেন যা দিনের আলোর মত পরিস্কার। এসব কিছুই নয়, একটি মহল এমপির বিরুদ্ধে কিভাবে কেন্দ্রে বা দেশরত্নের কাছে অগ্রহন যোগ্য করতে চায়?
পৌরসভার সম্মেলনে কমিটির নাম ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। তার আগেই এমপি পৌরসভায় গিয়ে চা চক্র করেন। শুধু সেখানেই নয়, তিনি যেখানেই সভা করেন, সেখানে সভা থেকে উঠে চা চক্র করেন। তার বিরুদ্ধে নিজ দলের নৌকা বিরোধীরা আগেও যড়যন্ত্র করেছেন, এখনো করছেন, ভবিষ্যতেও করবেন।
প্রদীপ সরকার আরও বলেন, এমপির বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করার জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্নের কাছে রাজনীতি করবেন না বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু দেশরত্ন তাকে রাজনীতির মাঠে রেখেছেন গোদাগাড়ী পৌরসভার ঘটনাটি তিলকে তাল বানানোর মত করে সাজিয়ে অন্যদলকে হাসির খোরাক বানিয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনের সভাপতি মা’ইনুল ইসলাম স্বপন তার বক্তব্যে বলেন, রাজনীতিতে পক্ষ বিপক্ষ থাকতেই পারে। কিন্তু অন্যদলের লোকজন ঘটনাটিকে মিথ্যা হিসেবে দেখলেও নিজ দলের এক মহল বা নৌকা বিরোধীরা অপপ্রচার করেছেন। তাদেরকে বলতে চায়, এমপির রাজনীতির বীজ অনেক শক্তিশালী। সুতরাং তাকে এসব করে রাজনীতির মাঠ থেকে সরানো যাবে না। আগামী নির্বাচনেও তিনিই নৌকা প্রতীক পাবেন। এটা বুঝতে পেরে এসব যড়যন্ত্র করছেন। তাদেরকে আহবান জানাব এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা মানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে মিথ্যাচার করা। তাদের চক্রান্ত কখনো সফল হবার নয়।
এসময় তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দিক, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন সম্পাদক শিক্ষক জিল্লুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মুনসেফ আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আ.লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আব্দুল মতিন, মুন্ডুমালা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর মোহাম্মাদ হোসেন মুন্টু, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, পৌর আ.লীগ নেতা প্রতাপ সরকার, কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখার সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদ, উত্তর শাখার সভাপতি প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রামানিক, সাধারণ সম্পাদক শ্রী নির্মল সরকার, কলমা ইউপি পূর্ব শাখার সভাপতি আব্দুর রহিম, পশ্চিমের সভাপতি মুনসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, তালন্দ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল করিম মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক হাসান মেম্বার ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রামিল হাসান সুইট উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই গোদাগাড়ী পৌরসভা আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে কথা কাটাকাটির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। সেই বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনটি অনষ্ঠিত হয়। রা/অ