বৃহস্পতিবর, ১২ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৭:৩২ pm
ডেস্ক রির্পোট :
বগুড়ার ধুনটের চান্দারপাড়া গ্রামে গার্মেন্টস কর্মী মা মর্জিনা খাতুনকে (৪০) হত্যার পর লাশ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখায় জড়িত ছেলে রাব্বী ইসলাম (২০) ও ছেলের বউ নূপুর খাতুন (১৮) ধরা পড়েছে। র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা শুক্রবার রাতে তাদের ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করেন। শনিবার বিকালে তাদের ধুনট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ওসি রবিউল ইসলাম জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। স্বীকারোক্তি দিতে চাইলে রোববার আদালতে হাজির করা হবে। আর না দিলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
শনিবার দুপুরে র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন।
গত ২২ জুলাই পুলিশ বগুড়ার ধুনটের চান্দারপাড়া গ্রামে মায়ের শয়ন ঘরের মেঝে খুঁড়ে মর্জিনা খাতুনের পচন ধরা লাশ উদ্ধার করে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে নিহতের মা ও মৃত আবদুল লতিফের স্ত্রী রওশন আরাকে (৫৮) গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তবে মর্জিনার ছেলে রাব্বী ইসলাম ও ছেলের বউ নূপুর খাতুনকে খবর দেওয়া হলেও তারা বাড়িতে আসেনি। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, মায়ের শয়ন ঘরের মেঝে খুঁড়ে মর্জিনা খাতুনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নজরে এলে র্যাব সদস্যরা তৎপর হন। র্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের সহযোগিতায় শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার সাভারে আশুলিয়ার উত্তর কাঠগড়ের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে তার ছেলে রাব্বী ও তার স্ত্রী নূপুরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এরা দুজন মর্জিনা খাতুনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার বিকালে তাদের ধুনট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ওসি রবিউল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহে মর্জিনা খাতুনকে তার মা রওশন আরা, ছেলে রাব্বী ও ছেলের বউ নূপুর হত্যা করে। এরপর লাশ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে তারা ঢাকায় পালিয়ে যায়। ২২ জুলাই লাশ উদ্ধারের দুদিন আগে রওশন আরা পরিস্থিতি দেখেতে ধুনটের বাড়িতে আসেন। সূত্র : যুগান্তর