শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:১০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানিতে চাকরি জন্য প্রশিক্ষণের নামে প্রতারণার অভিযোগে রাজশাহী মহানগরীর দড়িখড়বনা এলাকার তিনটি ভবন থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে চাকরি প্রত্যাশী ও প্রতারিত ৩৭ তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চালায় বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।
আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকসহ আরএমপির সংশ্লিষ্ট জোনের কর্মকর্তারা পুরো অভিযান তদারকি করেন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরএমপির মুখপাত্র এডিসি গোলাম রুহুল কুদ্দুশ জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে আরএমপি কমিশনার মহোদয় জানতে পারেন, নগরীর দড়িখড়বনা এলাকায় কয়েকটি ভবন ভাড়া নিয়ে একটি প্রতারক চক্র মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের জড়ো করেছে। তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের নামে টাকা পয়সা নিচ্ছে। আরএমপি কমিশনার বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।
অভিযোগে জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মেছোপাড়া জিউপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান মণ্ডলের ছেলে মোহাইমিনুল হক মিনু (২৫) ও তার স্ত্রী শিলা বেগম (২২), নাটোর সদর থানার জালালাবাদ গ্রামের আসলাম আলীর ছেলে শিমুর হোসেন (২৩) এবং রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার যষ্ঠিতলা গ্রামের রঞ্জন দাসের ছেলে রাকেশ দাস (৩০) সম্প্রতি দড়িখড়বনা এলাকায় তিনটি ভবন ভাড়া নিয়ে বেষ্ট ওয়ান মার্কেটিং এজেন্সি নামের এমএলএম কোম্পানির অফিস খোলেন।
এদিকে চক্রটি নোটিশ জারি করে চাকরির জন্য বায়োডাটা (সিভি) জমা দিতে বলেন। চক্রটি সিভি জমা বাবদ ৫৬০ টাকা, কোম্পানির চাকরিতে যোগদান বাবদ ৩৬ হাজার টাকা এবং এক মাসের থাকা খাওয়া ও প্রশিক্ষণ বাবদ ৫০ থেকে ৬০ জনের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা করে আদায় করেন। এরই মধ্যে অনেকেই কিছু টাকা জমা দিয়ে প্রতারণার গন্ধ পেয়ে কেটে পড়েন। তবে অনেকেই টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, বেষ্ট ওয়ান মার্কেটিং এজেন্সি থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি কিনতে বাধ্য করা হয়। এসব জিনিস কেনা বাবদ আলাদা করে টাকা নেয়া হয়েছে। প্রতারকরা আরও তরুণ তরুণীদের আনতে বিভিন্ন স্থানে সাব এজেন্ট নিয়োগ দেন।
আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, এটি একটি প্রতারক চক্র। তারা শিক্ষিত বেকার তরুণ তরুণীদের প্রশিক্ষণ ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায় করছিল। সম্প্রতি গোয়েন্দা সূত্রে বিষয়টি অবগত হন তিনি। প্রতারিতরাও ফোনে তাকে অভিযোগ করেন। প্রাথমিক খোঁজখবরের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
তিনি জানান, রোববার পুলিশ তিনটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। চার প্রতারককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে প্রতারিত তরুণ তরুণীদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আজকের তানোর