শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:০০ am
শাকিল আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার (ইউনিয়ন ভূমি-উপসহকারী কর্মকর্তা) রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি জমির বিরোধীয় একপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগে স্থানীয় তানোর প্রেসক্লাবে আজ (২২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্রয়কৃত সম্পত্তির প্রকৃত মালিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হেনা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) রবিউল ইসলাম তার প্রতিপক্ষ জালাল উদ্দিনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সম্প্রতি পক্ষপাতমূলক একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন তানোর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার দপ্তরে। আর এর জেরে কামরুজ্জামান হেনা পড়েছেন বিপাকে। বৈধ প্রক্রিয়ায় জমি ক্রয় করে ভোগদখল করলেও তার প্রতিপক্ষ তাকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছেন। আর তহসিলদার তার প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাকে জমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে জড়িত আছেন।
ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান হেনা বলেন, তিনি ও তার অপর দুই সহযোগী গত বছরের অক্টোবর মাসের ৮ তারিখে জাইদুর রহমানের নিকট হতে ১৩ শতাংশ বাড়ি ও দোকানঘর ক্রয় করেন। এরপর বাড়ি ও দোকানের দখল বুঝে নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে ব্যবসা করে আসছেন তিনি। এদিকে, জমির প্রকৃত মালিক জাইদুর রহমানের ভাই জালাল উদ্দিন অন্যের কাছে জমি বিক্রির বিষয়টি মানতে না পেরে শুরু থেকেই তাকে দখল না দেওয়াসহ উচ্ছেদে নানা তৎপরতা চালিয়ে আসছেন।
এর ফলে কামরুজ্জামান হেনার ব্যবসার বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। ফলে কামরুজ্জামান হেনা ক্রয়কৃত জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিরাপত্তা চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন প্রতিকার পাওয়ার আশায়। যার মামলা নম্বর ১৭০পি/২০২১।
এদিকে, রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে এ বিষয়ে তানোর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে (এসি) সরজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। বর্তমানে এসির অতিরিক্ত দায়িত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রয়েছেন। ফলে ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো সরেজমিন বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে তদন্তপূর্বক মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তাকে (তহসিলদার) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি তহসিলদার রবিউল ইসলাম জালালের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা বানোয়াট প্রতিবেদন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (এসি) বরাবর দাখিল করেন। যাতে জমির মালিকানা ও দখল কামরুজ্জামান হেনার প্রতিপক্ষ জালাল উদ্দিনের হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
বিষয়টি অবগত হয়ে কামরুজ্জামান হেনা তহসিলদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মিথ্যা প্রতিবেদন প্রত্যাহারের জন্য তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতেও তহসিলদার রবিউল ইসলাম কর্ণপাত করেননি। বরং প্রতিপক্ষের পক্ষে সাফাই দেন। জমি ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়ার জন্য হেনাকে চাপপ্রয়োগ করেন।
সম্মেলনে জমির মালিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জান হেনা আরও বলেন, তারা ১৩ শতক জমি কিনতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। দোকান করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। রড সিমেন্টের দোকান দিয়েছেন বিপুল টাকা খরচ করে। এখন প্রতিপক্ষ জালাল উদ্দিন তাকে উচ্ছেদ করতে নানাবিধ ষড়যন্ত্র করছেন।
সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জায়গা ছেড়ে না গেলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষ। এজন্য তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রট (এডিএম) আদালতে মামলা করেছেন নিরাপত্তা চেয়ে। তবে, তহসিলদার মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করায় তিনি পড়েছেন বিপাকে।
প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুন্ডুুমালা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি প্রতিবেদনের বিষয়ে কারও কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। ইউএনও সাহেবের নির্দেশে আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। উনি যেভাবে বলেছেন আমি সেভাবেই দিয়েছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য কর্মস্থল ত্যাগকারী তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, তিনি তানোর থেকে বদলি হয়ে গেছেন। তবে, প্রতিবেদনটি পড়ে দেখার সময় পাননি। তাই সেই বিষয়ে কিছু তার জানা নেই। আজকের তানোর