বৃহস্পতিবর, ৩১ অক্টোব ২০২৪, সময় : ০১:১৮ am
রাবি প্রতিবেদক : নানান অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াসহ বর্তমান প্রশাসনের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অপূর্ণ। এখানে শিক্ষক প্রতিনিধি নেই বললেই চলে। যে কয়েকজন আছেন, তারা রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি লিজ ও বিভিন্ন নিয়োগ দেয়ার আইনগত কোনো অধিকার তাদের নেই। সম্পত্তি লিজ দিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ সিন্ডিকেট, শিক্ষক সমিতি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্মতি দরকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আজকে শিক্ষকরা দাঁড়িয়েছেন, জাতির পিতার যে জন্মশতবার্ষিকী চলছে সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক সমাজকে কোনোভাবে আহ্বান বা সংশ্লিষ্ট না করে এককভাবে বিএনপি ও রাজাকারদের নিয়ে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক কাজ করছেন। এখানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে চাই- দুর্নীতিবাজ যত বড়ই হোক, তাকে টেনেহিঁচড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র ভূমি থেকে নামানো হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান উপাচার্য কাদের নিয়ে মিটিং করেন? যারা নিয়োগ বাণিজ্যর জন্য লোক ধরে আনবেন তাদের নিয়ে মিটিং করছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার চেয়ে ‘নিয়োগ’ দিতে বেশি আগ্রহী। মুখে তার বঙ্গবন্ধুর বাণী আর কাজে তিনি রাজাকারের আকার ধারণ করেছেন।
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পুরনজিত মহালদারের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার পরিবর্তন করে নিজ কন্যা ও জামাতাকে নিয়োগ, উপাচার্যের অবসরগ্রহণের পর পুনরায় দায়িত্ব পালন এবং রাষ্ট্রপতিকে অসত্য তথ্য প্রদান, উপাচার্যের বাড়িভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে উপ-উপাচার্য নিয়োগ ও তার নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি। আজকের তানোর