সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৫৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের এসএ শাখার উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা সেলিম রেজাকে তার দপ্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসকের দপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে সংযুক্তিতে কাজ করবেন রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে।
সোমবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সরকার অসীম কুমার এ আদেশে সই করেছেন। আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে সেলিমকে তানোরে যোগ দিতে হবে।
গত ১০ জুলাই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন, তার একটি পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন এই সেলিম রেজা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ডিসি অফিসের প্রভাব খাটিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি দখলে ভূমিকা রাখা ও ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দেওয়ার অভিযোগ আছে।
নানা সময় বিরোধপূর্ণ জমি কিনে সেগুলো স্ত্রী-স্বজনদের নামে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও আছে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি পুকুরের জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দেওয়ার বিনিময়ে নিজ নামে জমি রেজিস্ট্রেশন করার অভিযোগে তাকে নিজ দপ্তর থেকে বদলি করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার জেএল রামচন্দ্রপুর মৌজার ৩৬৫ দাগের একটি পুকুরের শ্রেণি পরিবর্তনের বিনিময়ে প্রায় দুই কাঠা জমি নিজ নামে রেজিস্ট্রেশন করে নেন সেলিম রেজা। এ ঘটনায় কিসকো মুরমু নামের এক ব্যক্তি ভূমি সচিব বরাবর অভিযোগ করেন। গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে তদন্ত করতে বলা হয়। অভিযোগের পর সেলিম রেজাকে এসএ শাখা থেকে অন্য শাখায় বদলি করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে আর এ ঘটনার তদন্তই হয়নি। আগের জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল নিজের বদলির আগে সেলিমকে আবার এসএ শাখায় পুনর্বহাল করে যান।
এই দপ্তরে ফিরে এসে আবার বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সেলিম। গত ১০ জুলাই তিনি নিজেই গোদাগাড়ীর ইয়াজপুরে বিরোধপূর্ণ জমি দখলে যান। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন নিহত হন। ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত জেলা প্রশাসককে একটি ‘অবহিতকরণ প্রতিবেদন’ দেন। সেখানে সেলিম রেজাকে সংঘর্ষের একটি পক্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি নিজেও ছিলেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সেলিমের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রা/অ