সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৫৯ am
ইমরান হোসাইন :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ব্যানারে নাম উঠেনি তানোর উপজেলা যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ভাইয়ের। তাই তানোরজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই সম্মেলন সভার সভাপতি ও তানোর উপজেলা আ.লীগের বিতর্কিত সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন। ময়না ভাই শুধু যুবলীগের সভাপতি নন তিনি তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কলমা ইউনিয়ন পরিষদের দুই দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান গণমানুষের নেতা।
সম্প্রতি মঙ্গলবার বিকেলে দর্গাডাঙ্গা স্কুর এন্ড কলেজ মাঠে কলমা ইউনিয়ন আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সম্মেলন নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ওই ইউপিতে নৌকা প্রতিক নিয়ে সবগুলো কেন্দ্রেই পরাজিত হওয়া ব্যক্তি মাইনুল ইসলাম স্বপন। তানোর আ.লীগের ওই বিতর্কিত সভাপতি কলমা ইউনিয়নকে দু’ভাগে বিভক্ত করে এক ইউনিয়নে দুইজন সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক দু’জন ঘোষণা করেছেন।
ক্ষোভে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলছেন, ময়না চেয়ারম্যান যখন মৃত্যুর মুখে চিকিৎসার জন্য হেলিকাপ্টার যোগে ঢাকায় নেয়া হচ্ছিল। তখন কলমা ইউনিয়ন আ.লীগের সম্মেলন চলছিলো। যে মানুষটা ওঁদের জন্য এতোকিছু করলো সেই মানুষটার জন্য এই সম্মেলনে একটি বিশেষ দোয়া মোনজাত পর্যন্ত করা হয়নি।
অথচ ময়না ভাই রাজশাহী মেডিকেলে যখন ভর্তি ছিলেন। তখন কলমার এই মানুষ গুলোই ময়না ভাইকে দেখতে গিয়েছিল। তাদের অনেকেই অবশ্য প্রমান হিসেবে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেছিলেন।
তাহলে কি ময়না ভাইয়ের জন্য ওঁদের হৃদয়ে এতোটুকুও ভালোবাসা নেই। যদি তাই না হবে তবে কেন ব্যানারে ময়না ভাইয়ের নাম ওঁরা লিখলেন না। কেনো ওঁরা ময়না ভাইয়ের জন্য সম্মেলন অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ দোয়া মোনাজাতের ব্যবস্থা করলেন না।
রাজশাহীসহ তানোর উপজেলা ও কলমা ইউপি বাসী ছাড়াও সকলের মনে এমন দানা প্রশ্ন ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সকলেই বলছেন, বর্তমান উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মাঈনুল ইসলাম স্বপন এমপিকে বিতর্কিত করতে এবং দলের ক্ষতি করতে এমপি বিরোধী শিবিরের সাথে গোপন আঁতাত রেখে ময়না ভাইয়ের সাথে এমপির দ্বন্দ সৃষ্টির লক্ষেই এমনটি করেছেন।
অনেককেই মন্তব্য করতে শোনা গেছে, রাজনীতিতে চিরস্থায়ী যেমন বন্ধু নেই তেমন চিরস্থায়ী শক্রুও নেই। রাজনীতি মানে হচ্ছে সার্থপরোতা। যে যখন লংকায় যাচ্ছেন সেখানে রাবন সাজার চেষ্টা করছেন। তারা, বলছেন নৌকা ফুটোকারী খাদেমুন্নবী বাবু চৌধুরীর ঠাই ওই মঞ্চে হলেও ময়না ভাইয়ের নাম ঠাঁই পাইনি ওই ব্যানারে কেন?
এসব কিছুর মুলেই হচ্ছেন তানোর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মাঈনুল ইসলাম স্বপন। স্বপনকে তার এমন কর্মকাণ্ড থেকে থামাতে না পারলে জাতীয় নির্বাচন আসতেই এমপির কাছের লোকদের কৌশলে দূরে সরিয়ে দিবে। এরফলে আগামী নির্বাচনে ধরাসই হতে পারেন ফারুক চৌধুরী।
কলমা ইউপিবাসী বলছেন, স্বপন মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করে মাঠে নেমেছেন নিজের আঁখের গোছাতে। এরজন্য তিনি তার নিজস্ব বাহিনী তৈরি করেছেন। তাদের দিয়ে তিনি নিয়োগ বানিজ্যসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড করছেন এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে।
মঙ্গলবার সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় তিনি দর্গাডাঙ্গা বাজার পার্টি অফিসের বাইরে তার সেই বাহিনীদের নিয়ে আড্ডা দেয়ার সময় সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করা মাত্রই তিনি দলবল নিয়ে চেয়ার থেকে উঠে মারমুখি ভাবমুর্তি দেখিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তেড়ে আসেন। রা/অ