সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫১ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বর্তমানে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা চলমান রয়েছে। রামেক হাসপাতলে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়ে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা সবাই রাজশাহী জেলার বাইরের রোগী এবং ঢাকা ফেরত। তবে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কোন রোগী রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন রামক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের তথ্যমতে, হাসপাতালের ৩০ নং ওয়ার্ডটি ডেঙ্গু ওয়ার্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৯ জুন থেকে এই ওয়ার্ড চালু হলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে তিন জন শিশুসহ অন্য তিনজন রোগী ভর্তি আছেন।
শিশু রোগীরা হলেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার সিদরাতুল মুনতাহা। তার বয়স ১২ বছর। সিদরাতুল মুনতাহার মা জানান, ঈদ করতে ঢাকায় যান। সেখানে হালকা জ্বরসহ পেট ও মাথা ব্যাথা দেখা দেয়। জ্বরের মাত্রা অতিরিক্ত হলে গত ৩ জুলাই ঢাকা থেকে রাজশাহী চলে আসি। রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতলে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পরে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ জুলাই রামেক হাসপাতলে ভর্তি করায়।
এখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর তার ছেলের অবস্থা অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলে স্বস্থি প্রকাশ করে বলেন, প্রথমে ভেবে ছিলাম রামেক হাসপাতালের ভালো চিকিৎসা বা পরিবেশ ভালো হবে না। তবে আল্লাহর রহমতে সেই ভাবনা দূর হয়ে অনেক ভালো পরিবেশে আমার ছেলের চিকিৎসা চলছে।
অন্য শিশু রোগী হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার মনিরা খাতুন (১৩)। কুষ্টিয়ার ভোড়ামারা উপজেলার রাহুল (১৫)। এছাড়াও আরো যারা ভর্তি রয়েছেন তারা হলেন, নাটোর সিংড়া উপজেলার বিপাশা খাতুন, গুরুদাসপুর উপজেলার সোহেল রানা এবং রাজশাহী বাঘা উপজেলার আইসিইউতে ভর্তি আছেন পাপ্পু (৪০)।
রোগীর আত্নীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই ঢাকায় কেউ বেড়াতে বা কর্মরত থাকা অবস্থায় মশার কামড়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বাসায় আসে। পরে অবস্থার অবণতি হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারে। তারা সকলেই রামেক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলো ১১ জন।
রামেক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. এ.আর সুফায়েল আহমেদ বিপ্লব বলেন, হাসপাতালে ভর্তিরত ডেঙ্গু রোগীরা সবাই রাজশাহীর বাইরে থেকে আক্রান্ত। বেশীর ভাগ ঢাকা ফেরত। তারা আক্রান্ত হওয়ার পর বাসায় ফিরে আসেন। পরবর্তিতে রামেক হাসাপাতালে ভর্তিহয়ে চিকিৎকসা নিচ্ছেন। এই হাসপাতলে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড গত ১৯ জুল চালু হওয়ার পর রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। অনেক সুস্থ হয়ে বাড়ী ফেরত গেছে।
ডেঙ্গু হতে বাঁচতে তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আগামী তিনমাস এই রোগের প্রার্দুরভাব থাকবে। এজন্য বাড়ীর আশে পাশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এছাড়াও দিনে-রাতে ঘুমার সময় মশারি টাঙ্গানের পরামর্শ দেন। রা/অ