রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৩৬ am
মোস্তফা কামাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) মোহনপুর :
প্রাকৃতিক নিয়মেই নিজের ঘর বুনে বাবুই পাখি। আপরুপ প্রকৃতির তালপাতায় ঘর বুনে বসবাস করে অশংখ্য বাবুই জুটি। আপন ঠোঁটের পরশে নিপুণ ভাবে বুনছে নিজ আবাসন। এমন একটি পাখির আবাসন দেখা গেছে বিষহরা গ্রামে। দিন ভর কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত গ্রামের কারিগর পাড়া। বাবর বার পথিকের নজর কাড়বে এসব বাবুইবাড়ি।
সরোজমিন দেখা গেছে, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের সবুজে ঘেরা একটি গ্রাম বিষহরা। অতীতে এ গ্রামে ছিল জমিদারদের বসবাস। এখন জমিদার নেই, তাই নেই জমিদারী প্রথাও। তবে, এখনও রয়েছে জমিদার বাড়ির পরিত্যক্ত স্মৃতি চিহ্ন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও রয়েছে জমিদারী যৌলস। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবনযাত্রার যথেষ্ট উন্নয়ন না ঘটলেও সামাজিক শান্তির মাঝে বসবাস করেন গ্রামবাসী। আর এ গ্রামেরই উত্তর সিমান্তের একটি পাড়ার নাম কারিগরপাড়া।
এখানে রয়েছে আধুনিক মানের একটি মসজিদ। মসজিদের চারপাশজুড়ে রয়েছে সারি সারি আম, জাম ও নারিকেল গাছসহ বৈচিত্রময় তালগাছ। নির্ভয় আবাসন গড়তে এসব তাল গাছগুলো বেছে নিয়েছে অশংখ্য বাবুই পাখির জুটি। বসবাস ও বংশ বিস্তারের জন্য বাবুই পাখিরা খড়কুটা, তুলা, গাছের আঠা ও আঁশ দিয়ে বুনেছে অশংখ্য বাসা। নিপুণ কারুকাজে বুনা বৈচিত্রময় বাবুইবাসা পথিকের নজর কাড়বে বার বার কিচিরমির ডাকে মুখরিত পরিবেশে মুগ্ধ করবে প্রাণ।
মুখলেসুর রহমান নামে এক গ্রামবাসী জানান, এখানকার বেশিরভাগ বড় বড় তালগাছ গুলোতে বহুদিন ধরেই বাবুই পাখিরা বাসা বেধে বসবাস করছে। নিরিবিলি পরিবেশ ও পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে বাবুই পাখিরা বাস করে। এখানে প্রতিদিন পাখির ডাকে সকাল হয়। রাতের বেলায় যেন প্রকৃতির সাথে পাখিরাও ঘুমায়। রা/অ