শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:২৪ am

সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ
কবরের বাসিন্দার ভয়ানক আযাব হচ্ছে : দুঃচিন্তায় পেরেশান রাসুল (সাঃ) : দুধরচকী

কবরের বাসিন্দার ভয়ানক আযাব হচ্ছে : দুঃচিন্তায় পেরেশান রাসুল (সাঃ) : দুধরচকী

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) একদিন অনেক গুলো কবর দেখলেন। খুশী হলেন, শেষমেশ একটা কবরের সামনে গেলেন। উনার চেহারা মুবারকে ঘাম দেখা দিল। তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন। দুঃচিন্তায় চেহারা কালো হয়ে উঠল, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) পেরেশান হয়ে গেলেন।

একজন সাহাবী (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এত পেরেশান কেন ?

‘হায়, হায়’ ! তিনি অস্থির হয়ে বললেন, ‘এই কবরের বাসিন্দার উপর ভয়ানক আযাব হচ্ছে । এমনই শাস্তি যা ভাষায় বলা যায় না । আহা ! এই ব্যক্তির কি উপায় ?’

বলে তিনি কবরে হাত মুবারক রেখে দোয়া করলেন । কিন্তু চেহারায় প্রশান্তি এলো না ।

তিনি বললেন, ‘দোয়া কবুল হচ্ছে না । কোন রহস্যময় কারণে । সাংঘাতিক বড় পাপ করেছে সে।

হুজুর (সাঃ) এর উপর অস্থিরতা বেড়েই চললো তিনি বললেন, আমার উম্মতের উপর এমন কঠিন শাস্তি হচ্ছে আর আমি বাড়ী গিয়ে ঘুমাবো ?

তিনি একজন সাথীকে ডেকে বললেন, যাও মদীনার বাজারে । সেখানে আওয়াজ দিয়ে ডাকো যাদের আত্মীয়ের কবর এখানে রয়েছে তারা আসার জন্য।

তারা এলো।

তাদেরকে নিজ নিজ আত্নীয়ের কবরে দাড়াতে বললেন।

সবাই দাড়ালো।

কিন্তু আশ্চর্য্য ! ওই কবরের পাশে কেউ দাড়ালো না।

বেদনায় নীল হয়ে গেলেন হুজুর (সাঃ) অনেক পরে এলো এক বুড়ি! ধীর পায়ে,লাঠিতে ভর দিয়ে সেই বুড়ি দাড়ালেন সেই কবরের পাশে ।

হুজুরে পাক (সাঃ) স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন । তারপর বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কার কবর ?’

আমার ছেলের বৃদ্ধা বললেন ।

আপনার ছেলের কবরে ভয়ানক শাস্তি হচ্ছে ।

ইয়া রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এটা কি সত্যি ?

রাসুল (সাঃ) বললেন সত্যিই ।

শুনে বুড়ি বলে আমি খুব খূশী হলাম ।

আল্লাহ মাফ করুন, আপনি এ কি বলছেন মা ? সে আপনার সন্তান !

শুনুন তাহলে, হে আল্লহর রাসূল (সাঃ) এই বাচ্চা যখন আমার পেটে তখন তার বাবা মারা যায়। সে পৃথিবীর মুখ দেখল,তার কেউ ছিলো না। আমি নিদারুণ কষ্ট করে তাকে বড় করে তুললাম তিল তিল করে, সে বিয়ে করল,স্ত্রীকে পেয়ে সে ভূলে গেল আমাকে! একদিন তার ভালোবাসার বউ কানে কানে কি যেন বলল। ছেলে রাগে অধীর হয়ে মারতে শুরু করল আমাকে! ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেলাম আমি,জ্ঞান হারালাম?

হুশ ফিরলে আমি প্রার্থনা করলাম , আল্লাহর দরবারে। দু’হাত তুলে,বললাম, হে আল্লাহ !
তাকে কবরে শাস্তি দাও, অনন্ত কাল ধরে! দুনিয়াতে দিওনা, চোখের সামনে ছেলের কষ্ট সহ্য করতে পারব না?

হে আল্লাহর রাসূল !
আমি এখন এজন্য খূশী যে আমার দোয়া কবূল হয়েছে ।

হুজুর (সাঃ) অত্যাচারিতা সরল প্রাণ এই বৃদ্ধার কথা শুনে চোখের পানি চেপে রাখতে পারলেন না, উনার মুক্তার মতো অশ্রু , গাল বেয়ে ফোটায় ফোটায় পড়তে লাগল!

খানিকপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, হে বৃদ্ধা মা ! তুমি তোমার ছেলেকে ক্ষমা করো, সে ভয়াবহ শাস্তি পাচ্ছে?

বৃদ্ধা মহিলা বললেন, হে রাসূলূল্লাহ (সাঃ) অন্য কিছু বলুন, ছেলেকে ক্ষমা করব না আমি?

নিরুপায় হয়ে হুজুর (সাঃ) আকাশের দিকে মূখ তূললেন, কাতর স্বরে বললেন, হে আল্লাহ ! এই বৃদ্ধাকে কবরের শাস্তি দেখাও!

চোখের পলকে ঘটনা ঘটল?

বৃদ্ধার চোখ বিস্ফোরিত হলো?
সে প্রাণ ফাটা চিৎকার করে বেহুশ হয়ে গেল!

খানিক পর, জ্ঞান ফিরল বৃদ্ধার থর থর করে কাপছেন তিনি,তীর খাওয়া কবুতরের মত?

তিনি বললেন, ওগো খোদা ! কবরের আযাব কি এমন ভীষণ ! এমন ভয়ানক ! ছেলের পুরো শরীর থেকে চামড়া উঠিয়ে নেয়া হয়েছে । তাকে মুগুর পেটা করা হচ্ছে । হে আল্লাহর রাসূল ! আমি তাকে ক্ষমা করলাম । আপনি দোয়া করুন ।
সে যেন মুক্তি পায় ।

হুজুর (সাঃ) হাত উঠালেন, দোয়া শেষ!

উনার চেহারা উজ্জ্বল ।

প্রকৃতিতে, আকাশে বাতাসে নেমে এল সুমহান সমাহিত পরিবেশ ।

গভীর প্রশান্তি – দয়াল নবীর চেহারা মুবারকে । চারদিকে শান্তির ছায়া।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের মাতা পিতার খেদমত করার তাওফিক দান করুন ও মাতা পিতাকে কষ্ট না দেওয়ার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখক :- বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব। সূত্র : [email protected]

 

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.