রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৭ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ভারতের গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়ে। এ সময় ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। তবে তা বেড়ে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার হতে পারে। ঝড়ের কারণে জামনগরে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের চোখের ব্যাস প্রায় ৫০ কিলোমিটার। মধ্যরাত নাগাদ স্থলভাগে আছড়ে পড়বে এই চোখ। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যভাগে থাকে এই চোখ। সাধারণত ৩০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার হয় ব্যাস।
বিপর্যয়ের প্রভাব পড়তে পারে কেরালার উপকূলেও। রাতে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভিঝিনজাম থেকে কাসারাগোড় পর্যন্ত উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে প্রবল ঢেউ। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে ৩ থেকে ৩.৩ মিটার।
মৌসম ভবনের শেষ প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বিকেল সাড়ে ৫টার সময় জখাউ বন্দরের ৭০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, দ্বারকার ১৩০ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে বিপর্যয়। বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা।
গুজরাটের জামনগর বিমানবন্দরে শুক্রবার পর্যন্ত বিমানের ওঠানামা বন্ধ থাকবে। জরুরি ভিত্তিতে যদি বিমানবন্দর চালু করতে হয়, তার জন্য আগে থেকেই মজুত করা হয়েছে জ্বালানি।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হয়েছে প্রায় এক লাখ মানুষকে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। যদিও পোষ্যদের রেখে যেতে হয়েছে বাড়িতেই। পোষ্যদের খাওয়াতে তাই বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি ফিরলেন বহু মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে চলেছে পাকিস্তানেও। সে দেশের দক্ষিণে সিন্ধ প্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ৬২ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ভারতীয় নৌবাহিনী। সব ধরনের সাহায্য নিয়ে সমুদ্রে মোতায়েন রয়েছে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ। পোরবন্দর এবং ওখায় তাদের পাঁচটি করে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। ভালসুরাতে ত্রাণের জন্য মোতায়েন রয়েছে ১৫টি দল। সূত্র : আনন্দবাজার