সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে সন্ত্রাসি স্টাইলে দিনেদুপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘর ভেঙ্গে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী শিক্ষক পলাশের বিরুদ্ধে। এতে করে দিনেদুপুরে সংখ্যালঘুর বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে উত্তেজনা। সেই সাথে শিক্ষক পলাশের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
এমন জঘন্য চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, চলতি মাসের (১২জুন) সোমবার উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের কামারগাঁ বাজারের দক্ষিণপাড়া গ্রামে। সংখ্যালঘু পরিবারের অভিযোগ, কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৬ ফিট রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান মেম্বারের কথার কোন তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক লাঠিসোঁটা নিয়ে বয়স্ক বিধবা নারী পারুল ও তার ছেলে রামপ্রসাদের গর্ভবতী স্ত্রীকে মারপিট করে বাড়ির প্রাচীর ও বাথরুম ভেঙ্গে রাস্তা করছেন প্রভাবশালী পলাশ দাস।
এতে করে সংখ্যালঘু অসহায় পরিবারটি নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে অভিযোগ না নিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে পরিবার টিকে। ফলে বাড়ি ঘর হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি। বাড়িঘর ভেঙ্গে রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যাপক দম্ভোক্তি দেখিয়ে শিক্ষক পলাশ দাস বলেন, রাস্তার দরকার তাই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে কার বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পড়ছে তা দেখার সময় নেই। পাড়ার রাস্তা ভ্যান চলাচলের উপযোগী হলেই যথেষ্ট আপনি তা না করে ৬ ফিটের রাস্তা ৯ ফিট কিভাবে করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এতে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও দাম্ভিকতা দেখান তিনি।
এবিষয়ে কামারগাঁ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাস্তার জন্য এভাবে বাড়িঘর ভাংচুর করা ঠিক হয়নি পলাশের। গ্রামের রাস্তা ৬ ফিট হলেই যথেষ্ট। কিন্তু তা না করে পলাশ বাড়িঘর ভেঙ্গে ৯ ফিট রাস্তা নির্মাণ করছেন পলাশ। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা বলে জানান তিনি।
উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ জানান, পলাশকে ৬ ফিট রাস্তা নির্মাণের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু এখন শুনছি পলাশ জোর করে বাড়িঘর ভেঙ্গে ৯ ফিট রাস্তা নির্মাণের জন্য চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে রামপ্রসাদ ও তার মা আমাকে অবহিত করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে তানোর থানার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি। রা/অ