রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৪৪ am
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী সন্তান প্রসব করেছেন। ওই নারী নিজের নাম-পরিচয় বলতে না পারায় সদ্য ভূমিষ্ঠ ওই নবজাতককে আদালতে পাঠানো হয়। সোমবার (১২ জুন) বিকেলে নবজাতক শিশুকে রাজশাহী নারী ও শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত ওই নবজাতককে ছোটমনি নিবাসে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের উত্তর দিকের আমগাছ তলায় ওই নারীকে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয় গৃহবধূ সাবিনা খাতুন। পরে বাঘা বাজারের তুহিন আহম্মেদের বাড়ির গেটের সামনে ওই নারীকে সন্তান প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
গৃহবধূ সাবিনা খাতুন জানান, ওই নারীকে দেখে সুবর্না নামের আরেক গৃহবধূসহ বিকেল ৪টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উম্মে হাবিবা পরীক্ষার পর প্রসব ব্যথার যন্ত্রণা বুঝতে পেরে ডেলিভারি রুমে পাঠান। সেখানে নার্সের তত্ত্বাবধানে কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ে ভর্তি হওয়া ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। নিজের নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি। পরে বিষয়টি থানায় অবগত করা হয়। তবে মা-সন্তান দুজনই সুস্থ রয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেও নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় শিশুকে রাজশাহী আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশক্রমে শিশুকে ছোটমনি নিবাসে রাখা হবে। আর শিশুর মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রা/অ