সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৩১ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার ইলিফা বেওয়া নামের এক বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলার জমি জবর দখল করেছেন সাবেক পৌর ছাত্রদলের নেতা সাফায়াত হোসেন মাবুদ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের জমি রক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ইলিফা বেওয়া বাদি হয়ে দখলদার ভূমিদস্যু সাফায়েত হোসেন মাবুদকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পৌর এলাকার তালন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার দক্ষিণে ঘটে রয়েছে জমি দখলের ঘটনা।
মাবুদ তালন্দ কলেজ পাড়া এলাকার প্রয়াত বিএনপি নেতা মুহুরী ঠিকাদার হামিদুর রহমানের পুত্র। সে মৃত পিতার দলিল লেখক সনদে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে মুহুরীর কাজ করেন। ফলে মাবুদের এমন অমানুবিক ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। সেই সাথে তার শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা। কারন অভিযোগের পর লাগাতর হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন সাবেক ছাত্র দল নেতা মাবুূদ। ফলে বয়োজ্যেষ্ঠ বিধবা চরম নিরাপত্তা হীনতায় পড়েছেন। যে কোন মুহুর্তে দাঙ্গাবাজ মাবুদ বাাহিনী দ্বারা হামলা হত পারে বলেও শংকিত তিনি।
জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার ১৫৬ নম্বর তালন্দ মৌজার আরএস ৪৮ নম্বর খতিয়ানে আরএস ১৭১১ দাগে ও প্রস্তাবিত ৯২১ নম্বর খতিয়ানের ৫৬ শতাংশ জমি বিক্রি করেন ইসলাম মালাকার ও তার দুই বোন এবং মা। তাদের কাছ বিগত ১৯৯০ সালের আগে জমি কিনেন তালন্দ গ্রামের সাইফুর রহমান। তিনি জমিটি খারিজ খাজনা করে বিগত ২০-২৫ বছর ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছিল। এঅবস্থায় সাইফুর রহমান মারা যান এবং তার এক মাত্র পুত্র মামুন বিগত প্রায় এক বছর আগে মারা যান। এর পরে বিগত ২০১৩-১৪ সালের দিকে ইসলাম মালাকারের কাছ থেকে জমি কিনেন মৃত হামিদুর রহমানের পুত্র ছাত্রদল নেতা সাফায়েত হোসেন মাবুদ। বিক্রেতা ইসলাম মালাকারও মারা যান।
সাফায়াত হোসেন মাবুদ জানান, আপনি কি আমার নামে খবর করতে চান, করবেন, আমি সঠিক ভাবে ক্রয় করেছে। সব ঝমেলা করছে মৃত মামুনের শ্বশুর। গত শনিবার সরেজমিনে মাবুদের সাথে কথা বলা হলে তিনি সাব জানিয়ে দেন জমি আমার কেউ নিতে পারবে না, মামুনের শ্বশুর ভেজাল করছে তাকেও দেখে নেওয়া হবে।
মৃত সাইফুর রহমানের স্ত্রী বয়োজ্যেষ্ঠ ইলিফা বেওয়া জানান, জমি আমাদের দখলে ছিল। স্বামী মারা গেছে,প্রায় এক বছর আগে ছেলেকে হারিয়েছি। তখন মাবুদ জমিতে আসেনি। এখন আমি অসহায় কেউ নেই এজন্য গায়ের জোরে দখল করে ধান লাগিয়েছে। ৫৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে টিকেছে ৫০ শতাংশ, সেটাও মেনে নিয়েছি।
জমির ছবি তোলার সময়, কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জমিটির প্রকৃত মালিক মৃত সাইফুর রহমান। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে মামুন জমিতে চাষাবাদ করতেন। কিন্তু হঠাৎ করে মাবুদ জমিতে ধান লাগিয়েছেন। তাদের কেউ না থাকার সুযোগে অন্যায় ভাবে দখল করেছেন।
তদন্ত ওসি মিজানুর রহমান জানান অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা। রা/অ