বুধবা, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৯ pm
আব্দুস সবুর, তানোর :
রাজশাহী তানোরে চলছে তীব্র গরম প্রচন্ড তাপপ্রবাহ সেই সাথে বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের মহাউৎসব পড়েছে। পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকের যন্ত্রণার মুল কারণ দিনরাত ৭-৮ ঘন্টাও মিলছে না বিদ্যুৎ। যদিও তানোর পৌর এলাকার পিডিবি নেসকোর গ্রাহকরা অনেকটাই ভালো ছিল। কিন্তু গত দুদিন ধরে তারাও লোডশেডিংয়ে তাল মিলিয়েছে। ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে কাজ করে রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাবে সেটাও কেড়ে নিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
লোডশেডিং, তীব্র গরম, শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে ঘাম বের হওয়াসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত সকল বয়সের জনসাধারন। ঘরে ঘরে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালেও প্রচুর রোগীর চাপ, চিকিৎসা দিতে হিমশিম হয়ে পড়ছে। বেশির ভাগ শিশু। বেডে জায়গা না পেয়ে বারান্দায় পড়ে রয়েছে।
বুধবার রাত দেড়টার দিকে কথা হয় ডাব ব্যবসায়ী জাইদূরের সাথে, তিনি জানান,সন্ধ্যার পর তিনবার রাত ১২ টার দিকে একবার আবার রাত ১ টার দিকে আরেকবার যা দুইটা পর্যন্ত চলে। তাহলে দিনভর এইরোদে গরমে ব্যবসা করি যদি শান্তিতে ঘুমাতে না পারি পরের দিন খাবো কি আর চলবই বা কিভাবে।
হোটেল ব্যবসায়ী পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক আইয়ুব, সেলিম, রফসহ অনেকে জানান, দিনরাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে উর্ধ্বে ৭-৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ মিলছে না। বিশেষ করে দুপুরে ও রাতে প্রচুর পরিমানে লোডশেডিং। রাতে ও দুপুরে বিদ্যুৎ যাওয়া মানে ঘরে থাকার কোন উপায় নেই। বাহিরে বের হতেই হবে। এসব কারনে শিশু থেকে শুরু করে সবাই সর্দি জ্বর কাশি ও গলা ব্যাথা রোগে ভুগছে।
গৃহহীনিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোন মাসে বিল কমেনা, প্রতি মাসে বাড়ে। এত লোডশেডিং তাহলে বিল বাড়বে কেন। এবার বিল নিতে আসলে বেঁধে রাখা হবে। আর এসবের কারন জানার পর ব্যবস্থা। দিনে ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পায়, আর বিল আসে পুরো মাসে অফিসের হিসেবে। আমাদের টাকায় এসি রুমে থাকছে, আর গরীবদের পকেট কাটছে। এত পরিমানে মহিলা ও শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে ডাক্তারের খরচ দেওয়া যাচ্ছে না। আবার টিভিতে বড়বড় কথা। স্মার্ট দেশ গড়বে এদের মত মিথ্যাচার কখনো দেখিনি।
নজরুল নামের নামের এক গ্রাহকের সামনে তানোর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জহুরুলের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি সাব জানিয়ে দেন কোন লোডশেডিং নাই। তবে কোন জায়গায় কাজ করলে অল্প সময় টেনে রাখা হচ্ছে। গ্রাহক নজরুল এমন কথা শুনে বলেন সারাদেশের মানুষ লোডশেডিং য়ে অতিষ্ঠ, যেখানে মন্ত্রী বলছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। আর কর্মকর্তা কিভাবে এতবড় জালিয়াতি কথা বললেন। হয়তো তিনি মন্ত্রীর চেয়েও বড় মাপের অফিসার হতে পারেন। ডিজিএম পুনরায় ফোন করে বলেন তানোরে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা আমেরিকায় বাস করছে। কোন লোডশেডিং নাই।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৫২ হাজারের অধিক বিদ্যুৎ চাহিদা ১৫ মেগওয়াট প্রয়োজন। কিন্তু অর্ধেকও মিলছেনা। আবার কয়েক হাজার বানিজ্যিক সেচ মটর দেওয়া আছে এবং প্রায় বাড়িতে রয়েছে অটোরিক্সা, আটো চার্জার ভ্যান গ্রাহকের বিদ্যুৎ গিলছে।
তানোর পিডিবি ( নেসকোর) আবাসিক প্রকৌশলী কিবরিয়া জানান, আমাদের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের মত। সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ চাহিদা ৩ মেগাওয়াট, কিন্ত পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে দেড় মেগওয়াট। এজন্য লোডশেডিং হচ্ছে। তবে অল্প দিনের মধ্যে কেটে যাবে বলে মনে করেন তিনি। রা/অ