শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০৫ am
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির ১১ কাউন্সিলর ও পাঁচ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মিলে মোট ১৬ বিএনপির নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বুধবার (৭ জুন) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হচ্ছেন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নগর বিএনপির রাজপাড়া থানা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বদি (৬নং ওয়ার্ড), ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু বকর কিনু (১১নং ওয়ার্ড), শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি টুটুল (১৪নং ওয়ার্ড), সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান লিটন (১৫নং ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন (১৬নং ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুল (১৬নং ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু (১৯নং ওয়ার্ড), ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা রিপন (২২নং ওয়ার্ড), বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন (২৫নং ওয়ার্ড), নগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আমিন আজব (২৭নং ওয়ার্ড) ও মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল হাসান বাচ্চু (২৮নং ওয়ার্ড)।
এছাড়াও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা বেগম বেলী (সংরক্ষিত ৭,৮ ও ১০নং ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলতাফুন নেসা পুতুল (সংরক্ষিত ৯,১১ ও ১২নং ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ১নং যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার (সংরক্ষিত ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি শাহনাজ বেগম শিখা (সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ৪নং যুগ্ম সম্পাদক আয়েশা খাতুন মুক্তিকেও (সংরক্ষিত ২৫, ২৮ ও ২৯নং ওয়ার্ড) আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রহসনের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে অংশগ্রহণ করায় গত ৫ জুন কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। তবে নোটিশের জবাব সন্তোষজনক নয়। তাই দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে তাদের নাম একজন বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। রা/অ