নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সরনজাই ইউনিয়নের আলোচিত চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁনের বিরুদ্ধে এবার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তিনি পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করতে যেই ব্যাংক একাউন্টের চেক দিয়েছেন সেই হিসাব নম্বরে কোনো টাকা জমা নাই। এঘটনায় মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে মোজাম্মেল হক খাঁনের বিরুদ্ধে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন নবনবী মৌজায় তার খামার বাড়িসহ ৯৩ বিঘা জমি ইজারা ও আলু দেবার নামে রবিউল ইসলামের কাছে থেকে ১৫ লাখ টাকা কর্জ নেন। কিন্তু জমি ও আলু না দিয়ে ষ্ট্যাম্প ছিড়ে ফেলে এবং কয়েক কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করে। এখানো তার কাছে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে রবিউল।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন কৃষি ব্যাংক কালীগঞ্জহাট শাখার অনুকূলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি চেক দেন রবিউল ইসলামকে। রবিউল ওই চেকের টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে জমা দেন। কিন্তু ব্যাংক থেকে জানানো হয় ওই হিসাব নম্বরে কোনো টাকা জমা নেই। চেয়ারম্যানের এমন প্রতারণার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

প্রসঙ্গত, এরআগে নীতিমালা লঙ্ঘন করে সরকারি খাসপুকুর ভরাট, সেখানে দোকানঘর নির্মাণ এবং দোকান বরাদ্দের নামে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে ৩০ জানুয়ারি সোমবার মামলা করেন আইনজীবী জালাল উদ্দিন। ওই মমলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁনকে বিবাদী করা হয়।

আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেন। কিন্তু উপ-পরিচালক ইউপি চেয়ারম্যান দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বানোয়াট প্রতিবেদন দেন।

Exif_JPEG_420

এবিষয়ে রবিউল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন তাদের যেই চেক দিয়েছেন সেই হিসাব নম্বরে কোনো টাকা জমা নেই। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি এর বিচার চান।

এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই সত্য। তবে, আগামীকাল ব্যাংকে টাকা জমা দেবো। এরপর ব্যাংকে যেতে বলেছি বলে মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন করেন এই চেয়ারম্যান। তা/অ