সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩০ pm
আব্দুস সবুর, তানোর :
রাজশাহীর তানোর পৌর সদরে অবস্থিত গোল্লাপাড়া হাটের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গা অভিনব কায়দায় পাঁকা স্থাপনা তৈরি করছেন মেয়র ইমরুল হকের অনুসারী যুবদলের দুই নেতা বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন। চারদিকে টিন দিয়ে ঘিরে বিভিন্ন কায়দায় রাতের আধাঁরে দোকান ঘর ও দলীয় কার্ষালয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে রয়েছে।
ওই দুই যুবদল নেতা হচ্ছেন সদরের আতিকুর রহমান লিটন। তার বাড়ি কুঠিপাড়াগ্রামে। তিনি আনেস ডেকোটরের পুত্র। তানোর পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। অপরজন একই গ্রামের যুবদল নেতা নজরুল ও তার ভাই মেয়র অনুসারী ফটিক। তারা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ার কারণে উপজেলা ভূমি অফিস প্রভাবিত হয়ে সরকারি হাটের জায়গায় পাঁকা স্থাপনা করছেন।
এঘটনায় বণিক সমিতি থেকে শুরু করে হাট লীজ নেওয়া ও ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম বন্ধ না হলে রক্তক্ষয়ীর মতো সংঘর্ষের আশংকা করছেন প্রবীন ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তানোর সদরে অবস্থিত গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠ থেকে শিবনদীর ব্রীজের সংযোগ সড়ক ও মৌসুমী গরু-ছাগলের হাটের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল নিতে প্রথমে টিন দিয়ে ঘিরে রাখেন নজরুল, ফটিক ও লিটন। পরে বেশ কয়েক রাতে ওই জায়গা ঘেরা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যুবদল নেতা লিটন, নজরুট ও ফটিক সরকারি কোন অনুমতি ছাড়াই বিশাল আয়তনের ঘর তৈরি করা শুরু করেছেন তারা। সেখানে ছিলেন ফটিক। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে মালামাল রাখা হয়। এজন্য ভিতরে ইটের দেয়াল ও মেঝে প্লাস্টার করা হচ্ছে। কার অনুমতি বা ভূমি অফিস থেকে লীজ নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, দীর্ঘ দিনের ব্যবসায়ী লীজ কেন লাগবে বলে দম্ভোক্তি দেখান। তার সাথে কথা বলায় অবস্থায় আসেন যুবদল নেতা লিটন। তিনি এসে বলেন, আর বেশিদিন সময় নেই। ক্ষমতায় বিএনপি আসা মাত্রই শুধু এই জায়গা নয় আরো জায়গা দখল করা হবে বলে তিনিও ব্যাপক দাপট দেখান।
ব্যবসায়ীরা জানান, অনেকে সরকারি নিয়মে ডিসিআর কেটেও দোকান ঘর করতে পারছেন না। কিন্তু এরা কোন নিয়ম না মেনে শুধু ক্ষমতার দাপটে পাঁকা ঘর তৈরি করছেন। ফটিকের দোকানও আছে। তারপরও লোভ সামলাতে পারছেন না। ভূমি অফিসের কতিপয় সুবিধা বাদীরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এসব করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে অহরহ।
এব্যাপারে তানোর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার লুৎফর রহমান বলেন, তারা না কি এসিল্যান্ড স্যারের কাজ থেকে অনুমতি নিয়েছেন। অনুমতির বিষয়ে আপনি কিভাবে জানলেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, যারা ঘর করছে তারাই বলেছে। তারা কি কোন বৈধ কাগজ দেখিয়েছেন তিনি জানান, এতো কিছু বলতে বাধ্য নয় বলে এড়িয়ে গেছেন তহসিলদার।
তানোর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আমানত আলী জানান, তাদের ঘর নির্মাণ কাজ বর্তমানে বন্ধ করা হয়েছে। তানোর সহকারী কমিশনার ভূমি আদিবা সিফাতের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানান। রা/অ