রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪৬ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী হিসেবে নিজে না বসে বদলি পরীক্ষার্থী বসিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে এসএসসি পাশ করার অভিযোগ ওঠে পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গাফফারের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন ১৫ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে গোমর ফাঁস হয়ে এলাকাজুড়ে বইছে সমলোচনার ঝড়।
এ ঘটনায় গত ৯ মে এলাকায় কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর ফলাফল বাতিলের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন এবং অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন। অভিযোগ দায়ের করেন- পত্নীতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা শাহ চৌধুরী, নজিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর গৌতম চন্দ্র দে এবং ও দুলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ হতে উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নওগাঁর জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গাফফার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ হতে পত্নীতলা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজে অংশগ্রহণ না করে নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক মো. সাজিউল ইসলাম সাজুকে বদলী পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষার সিটে বসিয়ে সব পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেন। এ পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৪৫ পয়েন্ট পেয়ে মো. আব্দুল গাফফার সফলভাবে উত্তীর্ণ হন।
এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, তদন্তের জন্য একটি চিঠি পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করব। সূত্র : যুগান্তর