রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৪৪ am
ডেস্ক রির্পোট :
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বাকপ্রতিবন্ধী নিলু মিয়ার (৪২) হাত বাঁধা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বজনদের কাছে এলেও গত আটদিন তার সন্ধান মেলেনি। এ নিয়ে স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে নিলুকে উদ্ধারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শুক্রবার রাতে সারিয়াকান্দি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, সৌদি প্রবাসী ও প্রতিবেশী এক নারীর মাধ্যমে ছবিটি নিলুর ভাই রুবেল আহম্মেদের কাছে আসে। তবে ছবিটি কীভাবে ও কোথায় পেয়েছেন, সে ব্যাপারে ওই প্রবাসী নারী সঠিকভাবে কিছু বলতে পারছেন না।
ওসি আরও বলেন, নিলুর সন্ধান পেতে দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ, গ্রামবাসী ও স্বজনরা জানান, বাক প্রতিবন্ধী কৃষক নিলু মিয়া বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী ইউনিয়নের নারচী বিলপাড়া গ্রামের মৃত আদম আলী ফকিরের ছেলে। তিনি গত ১৮ মে বিকাল ৩টার দিকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নারচী বাজারে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। বড় ভাই রুবেল আহম্মেদ গত ২০ মে সারিয়াকান্দি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
রুবেল আহম্মেদের বন্ধু মিন্টু খান সৌদি আরবে থাকেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার নিলু মিয়ার হাত বাঁধা একটি ছবি বড় ভাই রুবেল আহম্মেদকে দেন। ছবিতে দেখা যায়, হাত বাঁধা অবস্থায় নিলু মিয়া মাটিতে পড়ে আছে। তার চারপাশে কয়েকজন লুঙ্গি পড়া মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন।
এ প্রসঙ্গে রুবেল আহম্মেদ জানান, বন্ধু মিন্টু খান তাকে জানিয়েছেন, তিনি ছবিটি অপর সৌদি প্রবাসী পেয়ারা খাতুনের কাছে পেয়েছেন। পেয়ারা খাতুন নিখোঁজ নিলুর প্রতিবেশী।
নিলুর স্ত্রী রাহেনা বেগম জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে পাওয়া তার স্বামীর হাত বাঁধা ছবি দেখেছেন। যারা ছবিটি প্রকাশ করেছেন তিনি তাদের কাছে তার স্বামীকে ফেরত চেয়েছেন।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, সৌদি প্রবাসী পেয়ারা খাতুনকে ফোন করলে তিনি নিলুর হাত বাঁধা ছবিটি কীভাবে পেয়েছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। অনেকে ফোন করায় তিনি বিরক্ত হয়ে গেছেন।
পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, নিলু মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তান খারাপ ব্যবহার ও মাঝে মাঝে মারধরও করতেন। এসব কারণেও তিনি অভিমানে অন্যত্র চলে যেতে পারেন। নিখোঁজ বাকপ্রতিবন্ধী নিলু মিয়াকে উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন। তাদের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও তৎপর রয়েছেন। সূত্র : যুগান্তর