রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১১ am
মোস্তফা কামাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) মোহনপুর :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মরগা বিলের মধ্যখানে প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পুকুর খনন করছিলেন হরিদাগাছি গ্রামের মৃত ইসরাইল সোনারের ছেলে জাতীয় পাটির নেতা বাবলু হোসেন এবং তার চাচাতো ভাই আক্কাস। গত ২৫ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে অভিযানে যান মোহনপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রিযাংকা দাস।
স্থানীয়রা জানান, ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি বুঝে দৌড়ে পালিয়ে যান বাবলু হোসেন। এসময় পুলিশ পুকুর কাটা যন্ত্রের চালকসহ দুইজনকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পুকুর খননকারির ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদাদেও পর আটককৃতরা মুক্তি পাই। পরদিন ২৬ মে শুক্রবার সন্ধায় বাবলু কেশরহাট-ভবানীগঞ্জ সড়কে ২০/২৫ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী প্রহরায় রেখে পুনরাই পুকুর খনন কাজ শুরু করেন। মাঝরাতে সড়কের উপর লাঠিয়াল বাহিনীর উৎপাতে ভয়ে উল্টোপথে ফিরতে থাকে মোটরসাইকেলসহ সবধরণের যান চালকরা।
এখবর কেশরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিষয়টি মোহনপুর থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পাওয়া মাত্র মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম বাদশাহ তাৎক্ষণিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযানে বের হন। পুলিশ যাওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে ভেকু মেশিন বন্ধ করে লাঠিয়াল বাহীনিসহ বাবলু হোসেন বিলের মধ্যদিয়ে গোপইল গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর বাবলু বাহিনীকে ধরতে মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম বাদশাহ বলেন, মরগা বিলে পুকুর খনন করছিল কেশরহাট পৌর এলাকার হরিদাগাছি গ্রামের বাবলু হোসেন। সে সড়কে লাঠিয়াল প্রহরাই রেখে পুকুর কাটছিল এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে পুকুর খননকারি বাবলুসহ সবাই পালিয়ে যায়। জনমনে ভীতি সৃষ্টির জন্য তাদের আটক করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। এধরণের কর্মকাণ্ডে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। রা/অ