রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৩৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে দরিদ্রদের মাসিক ভিজিডি’র চাল বিতরণ না করে মজুদ রেখেছেন চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন। ধনীদের নাম দেবার কারণেই চাল নিতে আসেন নি বলে মনে করছেন ইউপির দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এতে করে চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডে এলাকায় বইছে সমালোচনার ঝড়। সেই সাথে তালিকা যাচাই বাছায়ের জন্যও তদন্তের জোরালো দাবি তুলেছেন ইউনিয়নবাসি।
আজ ২৪ মে বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে মজুদ করা আছে ১৫টি চালের বস্তা। অনেক বস্তা ছিড়ে চাল পড়ে রয়েছে মেঝেতে। পড়ে থাকা চালে আবর্জনা প্রচুর।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রকৃত দরিদ্রদের তালিকা করা হয়নি। তালিকা হয়েছে দলীয় বিবেচনায়। যারা প্রকৃত দরিদ্র তারা সঠিক সময়ে চাল নিয়ে যান। কারণ তাদের পেটে ক্ষুধা আছে। তাই তাদের চালের প্রয়োজন। যেসব চাল পড়ে আছে হয়তো ধনীদের তালির এসব চাল। তাছাড়া চাল পড়ে থাকার কথা নয়। তারা ইচ্চেমত তালিকা করার করণেই চালের এ অবস্থা।
সুত্র মতে, মাসিক ভিজিডির চাল বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার থাকতে হবে। কিন্ত এসব চাল বিতরণের সময় কোন ট্যাগ অফিসার ছিলেন না। এদিকে, নিয়ম বহির্ভুত ভাবে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন পরিষদে এসি ব্যবহার করে আসছেন। অথচ পরিষদে এসি ব্যবহারে চেয়ারম্যানের কোন এখতিয়ার নেই । এটা সম্পূর্ণ রুপে ক্ষমতার অপব্যবহার।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, গত সোমবারে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়েছে। তালিকা অনুযারী ১২ জন ব্যক্তি না আসার কারণে তাদের বরাদ্দের চাল পরিষদে সংরক্ষণ রয়েছে। চালের বস্তা ছিড়ে আবর্জনার মধ্যে পড়ে আছে এবং এভাবে চাল রাখা যায় কি না ও ট্যাগ অফিসার ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি তাদেরকে ডেকে আনব, সমস্যার কারণে ট্যাগ অফিসার আসেননি বলে দাম্ভিকতা দেখান চেয়ারম্যান।
ট্যাগ অফিসার উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, চাল বিতরণে থাকতে পারিনি। পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলাম। আপনার কোন প্রতিনিধি ছিল কি না ও মাস্টার রোল জমা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিনিধি ছিল না এবং মাস্টার রোলও জমা দেয়নি। ১৫ বস্তা চালের মধ্যে কয়েক বস্তা ছিড়ে আবর্জনার মধ্যে পড়ে রয়েছে, এসব ময়লাযুক্ত চাল কিভাবে কবে বিতরণ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন বৃহস্পতিবার বিতরণ করা হবে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে মাস্টার রোল জমা হবে।
এবিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানোর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইএনও’র সরকারি মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি।
তবে, জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামিম আহম্মেদ বলেন, ভিজিডির চাল এভাবে রাখা ঠিক নয়। ট্যাগ অফিসার ছাড়াই বিতরণ ও মাস্টার রোল জমা হয়নি ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রা/অ