সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৪৮ pm
সারোয়ার হোসেন, তানোর :
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনের বর্তমান এমপি ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধূরীর নেতৃত্বে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তানোর গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠ। ফলে আসনটিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসতে শুরু করেছে। যার জন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফুরফুরে চাঙ্গা চাঙ্গা আমেজের ভাব।
জানা গেছে, এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত কর্মীসভা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে নেতাকর্মীরা। এসব কর্মসূচির ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফের ফিরে আসতে শুরু করেছে ঐক্যের হাওয়া ও নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের ফুরফুরে আমেজ। তবে এ আসনটির কিছু বির্তকিত আওয়ামী লীগের এক জোট বাধা নেতা ও তাঁর অনুগতদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর গোছানো আওয়ামী লীগের সম্ভবনাময় মাঠ নস্ট এবং ওই জোট বাধা নেতাদের বিরুদ্ধে উঠেছে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। এদিকে জোট বেঁধে আওয়ামী লীগে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাঁপাক্ষোভ ও উত্তেজনা অসন্তোষ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সম্ভবনাময় গোছানো মাঠ নষ্ট এবং দলীয় (সাংসদ) এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে একশ্রেণীর বগি (মতলববাজ) নেতাদের অপপ্রচার ও বিষাদাগার করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে এই ক্ষোভ-অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে জোট বাঁধা (আক্যমা) বগি নেতাদের এমন চক্রান্তের বিষয়টি তৃনমূল নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মধ্যে জানা জানি হয়ে পড়লে তানোর-গোদাগাড়ী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। তানোর-গোদাগাড়ী’র সকল নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই কুচক্রান্ত কারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন দলের হাইকমান্ডের কাছে। আর নেতাকর্মীদের অভিযোগের পর থেকে ওই নেতাদের পায়ের নিচের মাটি সরে যেতে শুরু করেছে এমনকি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় তারাসহ তাদের অনুগতদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে বলে তৃণমুল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রচার উঠেছে।
সূত্র জানায়, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার নেপথ্যে মদদে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার লাভ এবং উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর বগি (মতলববাজ) নেতাদের সমন্বয়ে জোট বেঁধে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সিন্ডিকেটের পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্যে হলো নির্বাচন করা নয় বরং নির্বাচনে প্রার্থী হবার আওয়াজ তুলে দলীয় প্রার্থীদের কাছে থেকে (নগদ-নারায়ন) কিছু অবৈধ সুবিধা আদায় করা। আর সিন্ডিকেটের এই পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে শক্তভাবে মাঠে নেমেছে এবং পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে ইতিমধ্যে সিন্ডিকেট সদস্যরা এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিষাদাগারের মাধ্যমে এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে অবৈধ সুবিধা আদায় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, যারা আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি তাঁরা তো দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগেরই প্রতিনিধি, তাহলে যারা প্রার্থী হবার গুজব তুলে এমপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও বিষদাগার করছে তাঁরা তো পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই কথা বলছে। তাদের অভিমত, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল করেন, কোনো ব্যক্তি বিশেষের নয় যারা নৌকা প্রতিক পাবেন তারা তার নৌকার যাত্রী হবেন। কিন্তু এমপি বা কোনো নেতার ওপর অভিমান করে নৌকা প্রতিকের বাইরে তারা যেতে পারেন না। যারা এটা করবে তারা শেখ হাসিনার নির্দেশনা অমান্য ও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন সেটা এখন তাদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও রাজনৈতিক দলের যেকোনো নেতাকর্মী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইতেই পারে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু মাঠে নেমে নিজ দলের প্রতি জনসর্মথন বাড়াতে কোনো কর্মসূচি না দিয়ে ঘরে বসে যারা প্রার্থী হবার গুজব তুলে এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিষদাগার করছে তারা পরোক্ষভাবে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তাদের দাবি, এদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। কারণ কথায় আছে ‘দুষ্টু গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল অনেক ভাল’। তাঁরা বলেন, কোনো এমপি বা নেতার দোষক্রুটি থাকতেই পারে, কিন্তু সেটি দলীয় ফোরামে আলোচনা না করে বা সংশোধনের সুযোগ না দিয়ে যারা এমপির বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার ও বিষাদাগার করছে তারা দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে পরোক্ষভাবে নেত্রীর বিপক্ষে কাজ করছে। আর তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে এসব বিষয় পরিস্কার হয়ে উঠায় তাঁরা এসব বগি (মতলববাজ) নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
এব্যাপারে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরী বলেন, তিনি শেখ হাসিনার দেয়া উন্নয়নের দিকনির্দেশনা নিয়ে ভাবছেন, তিনি জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হয়ে আওয়ামী লীগের অর্জন ও উন্নয়ন সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত বাড়াতে নেতাকর্মীদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, নেত্রী যাকে ভালো ও যোগ্য মনে করেছেন তাকেই নৌকার মাঝি করেছেন বলে তিনি জানান। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, এখানে এমপি ফারুক চৌধূরীর বিকল্প কোনো নেতৃত্ব এখানো গড়ে উঠেনি সেই সম্ভবনাও নাই,তাই যতই ষড়যন্ত্র ততই জনপ্রিয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলে তিনি জানান। রা/অ