শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩৮ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
নয় ভাই ও এক বোনের নয়নের মণি আমার ‘মা’ : চেয়ারম্যান ফকরুল

নয় ভাই ও এক বোনের নয়নের মণি আমার ‘মা’ : চেয়ারম্যান ফকরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট :
নয় ভাই ও এক বোনের নয়নের মণি আমার মা- এ দাবি করে চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম বলেন, সকাল বেলা না খেয়ে বের হলে আমার মা সামনে যাকে পাবেন বলবেন আমার ছেলে আজ না খেয়ে গেছে। সারাটা দিন সামনে যাকেই পাবেন, তাকেই ধরে এমনটা বলবেন। মায়ের বয়স হয়েছে প্রায় ৭৫ বছর। এখনো আমার মা আমার জন্য এমনটা করেন দেখে চোখের কোণে অনেক সময় পানি চলে আসে।

শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের একান্ত আলাপকালে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে তিনি এসব কথা বলেন।

ফকরুল ইসলাম বলেন, অপারেশন ক্লিনহাট চলার সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা যখন আমাকে আমার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল, তখন আমার মা সেনাবাহিনীর কাছে অনেক আকুতি জানিয়েছিল। মা বলেছিল আমার ছেলে কোনো অন্যায় করেনি। আমার ছেলেকে তোমরা নিয়ে যেও না বলে পা ধরে কেঁদেছিলেন। তখন কেউ আমার মায়ের কথা শোনেনি, রাখেনি। মায়ের সেই দিনের চোখের পানি আজও আমায় কাঁদায়। মা আমার জানের জান।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনের সময় মা আমাকে সব সময় বলেছেন বাবা তুমি নির্বাচিত হলে জনগণের সেবক হবে, শাসক নয়। মায়ের সেই নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করার চেষ্টা করছি। কখনো মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হইনি। মা এখনো আমাকে দিকনির্দেশনা দেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সেই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করলেও আমি সব সময় মায়ের নির্দেশনা মোতাবেক চলি। আমরা নয় ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিন ভাই পরলোকগমন করেছেন। বর্তমানে ছয় ভাই ও এক বোন রয়েছেন। তারপরও শুধু মায়ের দিকনির্দেশনায় আমরা এখনো একত্রিত হয়ে বসবাস করি। একসঙ্গে বসে আমরা খাই।

ফকরুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে প্রবেশ করেই মায়ের মুখটা দেখতে পেয়ে প্রাণটা ভরে যায়। ৯৮ সালে পিতাকে হারিয়েছি। পিতা হারানোর ব্যথা কী- যে পিতাহারা সেই জানে। এ দুনিয়ায় মা আমার একমাত্র শেষ সম্বল। সারাটা জীবন মায়ের সেবা করে যেন আমি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করতে পারি মহান আল্লাহর দরবারে আমার এটাই শেষ চাওয়া।

উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার বড় ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান এবং একটি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও শত ব্যস্ততার মাঝেও মায়ের খোঁজ নিতে একটুও ভুলে যান না। আমার বড় ভাইসহ পরিবারের সবারই নয়নের মণি আমার মা। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.