সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৫৪ pm
আব্দুস সবুর (নিজস্ব প্রতিবেদক) তানোর :
শাহীর তানোরে প্রাণী সম্পদ অফিসের সরকারী ডাক্তার পরিচয়ে ভুল চিকিৎসায় পেটে (বাছুর) বাচ্চা থাকা অবস্থায় দুটি গাভীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় গত বুধবার গরুর মালিক অসহায় দরিদ্র ওয়াসিম আকরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় ক্ষতিপুরুন ও চিকিৎসকের শাস্তি চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে উপজেলার জমশেদপুর গ্রামে ঘটে মর্মান্তিক এঘটনাটি।
সরকারী ডাক্তার পরিচয় দান কারী মামুনুর রশিদ। সে উপজেলার কলমা ইউপির অমৃতপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা তোফাজ্জুল হকের পুত্র। মামুন প্রাণী সম্পদ অফিসের লাইভস্টক ফিল্ড এ্যাসিস্টেন্ট( এলএফএ) প্রজেক্টে কর্মরত ।
এঘটনায় দরিদ্র ওয়াসিম দুটি গাভীর মৃত্যুর পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ক্ষতি পুরুনের আশায় দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ভূয়া চিকিৎসকের চরম শাস্তির দাবি উঠেছে।
অভিযোগ কারী ওয়াসিম আকরাম জানান, আমি গরীব অসহায়। সম্পদ বলতে দুটি গাভী। একটি গাভীর পেটে নয় মাস ও আরেকটির পেটে তিন মাসের বাচ্চা ছিল।
গাভী দুটি অসুস্থ হলে মামুন কে সংবাদ দেওয়া হয়। সে এসে কোনকিছু না বলে গাভী দুটিকে ১০-১২ টি ইনজেকশন পুষ করে।
পুষ করা মাত্রই তার সামনেই একটি গাভী মারা যায় এবং পরের দিন আরেকটি মারা যায়। ডাক্তারকে এসব বলা হলে সে বলছে মৃত্যু হলে কারো কিছু করার নেই। কাউকে কিছু বলা হলে তোমার খবর আছে বলেও হুমকি দিচ্ছেন।
কোন পাত্তা দিচ্ছে না।
অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির) জমশেদপুরগ্রামের তোফাজ্জুল হোসেনের পুত্র ওয়াসিম আকরাম ঋন নিয়ে দুটি গাভী লালন পালন করছিলেন।
গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে গাভী দুটির ক্ষুরা রোগ হয়। এঅবস্থায় রাসেল নামের একজন ব্যক্তির মাধ্যমে চিকিৎসক মামুনুরকে ডাকেন।
সে সন্ধ্যার দিকে এসে ১০-১২ টি ইনজেকশন পুষ করে। আমি নিষেধ করলে মামুন বলে আমি সরকারী চিকিৎসক জেনে বুঝে সব করছি।
ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথে এবং ডাক্তারের উপস্থিতিতে একটি মারা যায় এবং পরের দিন দুপুরে আরেকটি মারা যায়। বর্তমান বাজার মূল্যে দুটি গাভীর ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাম হবে।
লাইভস্টক ফিল্ড এ্যাসিস্টেন্ট (এম,এফ,এ) কর্মরত মামনুর রশিদ জানান, আমি দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছি। গরুর মালিকের সাথে কথা বলে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। আমি চলে আসার পর মারা গেছে।
আপনি চিকিৎসক না হয়ে কিভাবে চিকিৎসা দিলেন জানতে চাইলে তিনি জানান অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমন মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেন নি।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড জুলফিকার মো: আকতার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামুনুর রশিদ প্রজেক্টে কাজ করে। চিকিৎসা দেওয়ার তার কোন এখতিয়ার নেই। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ট্রেনিংয়ে আছেন, সে আশার পর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তা/অ