শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩৪ am
ডেস্ক রির্পোট :
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত প্রায় দুমাস ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ সময়ে আমদানি বন্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা দোকানগুলোতে নেই ভারতীয় পেঁয়াজ। আড়তগুলোতে দেশি পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে পেঁয়াজ আবার খুচরা বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকা।
যদিও গত দুদিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪ টাকা কমেছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল আহম্মেদ বলেন, বেশ কিছুদিন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। রোজার প্রথমের দিকে দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রমজানের শেষের দিক থেকে দাম বাড়তে থাকে। দুদিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৮-৫০টাকা কেজি দরে বিক্রয় হয়েছে। সেই হিসেবে বর্তমানে কেজিতে চার টাকা কমে এখন ৪৫-৪৬ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আড়ত থেকে কম দামে কিনলে কমদামেই বিক্রি করি আমরা। এখানে খুব বেশি লাভ হয় না। পেঁয়াজ কিনতে আসা সালাম বলেন, আমরা গরীব মানুষ। এমনিতেই বাজারে সব জিনিষের দাম বেশি। সারাদিন মাঠে কাজ করে ৩৫০-৪০০ আয় হয়। এ দিয়ে কষ্টে সংসার চলে। ইলিয়াস হোসেন নামের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, আড়ত থেকে ১৭০০-১৮০০ টাকা মণ পেঁয়াজ ক্রয় করি। সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে সাড়ে ১৮০০-১৯০০ টাকায় বিক্রয় করি।
আমাদের এখানে নাটোর, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া এলাকা থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এ বিষয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুর আলম বলেন, কয়েক দিন ধরে শুনছি এলসি শুরু হবে। সব ভুয়া খবর। কবে থেকে আমদানি শুরু হবে এটা জানা নেই। সূত্র : এফএনএস