শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:২৫ pm
ডেস্ক রির্পোট :
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর খড়গের মাত্রা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। এতে প্রকৃত সংবাদ প্রকাশে অনেকটা চাপের মুখে মিডিয়াগুলো। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, অপপ্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। দ্য ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। এ বিষয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক ২০২৩ (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২৩) – এ ৩১টি দেশের পরিস্থিতিকে গুরুতর হিসেবে দেখানো হয়েছে। স্বৈরাচারী শাসকের অধীনে থাকা দেশগুলোতে সংবাদমাধ্যমে দমন-পীড়নের মাত্রা অনেক বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ (৩ মে)। প্রতি বছর এই দিনে সারা বিশ্বে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হয়। এ প্রসঙ্গে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের (আরএসএফ) মহাসচিব ক্রিস্টোফ ডেলোয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাস্তবতার দিক দিয়ে জেগে ওঠতে হবে এবং বিপজ্জনক প্রবণতা পাল্টা দিতে হবে।
মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের ৩০তম বার্ষিকীতে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে আরএসএফ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুমন্নত রাখতে দেশগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিতেই দিবসটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন হয়ে থাকে।
আরএসএফ বলছে, সাংবাদিকতায় ১০টি দেশের মধ্যে সাতটি দেশের পরিস্থিতি কাজের জন্য অনুপযুক্ত। ১০টির মধ্যে তিনটিকে সন্তোষজনক বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
জাতিসংঘ বলছে, ৮৫ শতাংশ মানুষ এমন দেশে বাস করে যেখানে গত পাঁচ বছরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
২০২৩ এর সংস্থাটির সূচকে ৯৫.১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে নরওয়ে। পরের অবস্থানে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও লিথুয়ানিয়া। সূচকে সবচেয়ে নিচে রয়েছে উত্তর কোরিয়া (১৮০)। নিচের দিকে দেশগুলো হলো যথাক্রমে উত্তর কোরিয়ার পরে চীন (১৭৯) ও ভিয়েতনাম (১৭৮), ইরান (১৭৭)। এবারের সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪৫ তম।
আরএসএফ-এর সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশগুলোর অবস্থান নিচের দিকে। সূচকে ভারতের অবস্থান ১৬১ আর পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ১১ ধাপ উন্নীত হয়েছে শ্রীলঙ্কার। তালিকায় দেশটি ১৩৫তম। ভুটানের অবস্থান ৯০তম, নেপাল ৯৫, তালিকায় ১৫২তম অবস্থানে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান।
মিয়ানমার, তুরস্ক, রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের সংবাদমাধ্যমে দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে সরকারগুলো।
২০২৩ এর সূচকে আফ্রিকার দেশগুলোর সংবাদমাধ্যমের পরিস্থিতিকে খুবই নাজুক।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম কর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছে। এই দিবসটিতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ নেওয়ার পাশাপাশি ত্যাগী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন