শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৫১ pm
ডেস্ক রির্পোট :
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মী দ্বারা যে উপকার পেয়েছেন তা খুব ভালোভাবেই মনে রেখেছেন কণ্ঠশিল্পী কনক চাঁপা। মহান মে দিবসে নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানালেন তিনি কেন নিজেকে কণ্ঠশ্রমিক হিসেবে পরিচয় দেন।
কনক চাঁপা বলেন, ইউএসএ থেকে একলা একলা ফিরছিলাম। এতো চেষ্টা করলাম হ্যান্ড লাগেজ ছোট রাখতে, পারলামই না।এতো বাক্সপেটরা দু’হাতে, কাঁধে, মনে হচ্ছিলো কোনও গ্রাম থেকে কাজ করার জন্য ট্রেনে চড়ে ঢাকা আসছি। দুবাই এ নয় ঘণ্টা ট্রানজিট, লাউঞ্জের প্লাটিনাম কার্ড হারিয়ে ফেলে নাজেহাল। দুবাই নেমে বোকার মতো জুবুথুবু হয়ে ট্রলি ঠেলছি,হঠাৎ এক জোড়া চোখ আমাকে অনুসরণ করে সামনে এসে দাঁড়ালো, ম্যাডাম, সালাম,আপনি তো আপনিই নাকি? আমি হেসে বলি হ্যাঁ আমি আমিই।
সেসময় তাঁকের চেনাই যাচ্ছিল না, উল্লেখ করে বলেন, আমি এতোই ক্লান্ত যে আমাকে চেনা আসলেই কষ্ট। ছেলেটি দুবাই এয়ারপোর্টে কাজ করে। আমার সব দুরাবস্থার কথা শুনে বললো চিন্তা করবেন না আমি ব্যবস্থা করছি। আরও কয়েকজন এসে গেলো। তাদের বিষ্ফোরিত নয়নে শ্রদ্ধা ভালোবাসা ঝড়ে পড়ছে। একটা জায়গায় আমাকে তারা বসালো। বললো এ জায়গাটা মারহাবা লাউঞ্জের মতোই নির্জন। আপনি এখানে আরাম করে বসেন। সামনে নামাজের জায়গা আছে। আমরা খাবার এনে দেই।না করতে করতেই তারা অনেক খাবার জুস পানি এনে দিয়ে বললো আপনি কোন চিন্তা করবেন না আমরা যথাসময়ে এসে একেবারে ফ্লাইটে উঠিয়ে দিয়ে আসবো।
কণ্ঠশ্রমিক দাবি করার কারণ জানিয়ে কনক চাঁপা বলেন, আমি বারবার বলছিলাম আমি পারবো, ওরা কিছুতেই নিশ্চিন্ত হতে পারছেনা। আমি বললাম ছবি তুলবে তোমরা? হাঁফ ছেড়ে বেঁচে হেসে দাঁড়িয়ে গেলো।বললো সাহসই পাচ্ছিলাম না! আমি বললাম শোনো তোমরা আমার দেশের সোনার ছেলে। নিজেদের অজান্তেই দেশের জন্য অকাতরে কাজ করে দেশের উন্নতি করে যাচ্ছো।আজ আমিই তোমাদের সাথে ছবি তুলবো, আসো, দাঁড়াও। তোমাদের সাথে একাত্বতা জানাতেই, তোমাদের ভালোবাসা জানাতেই, তোমাদের কৃতজ্ঞতা জানাতেই এই আমি কনকচাঁপা নিজেকে তোমাদের কাতারে দাঁড়াতেই কণ্ঠশ্রমিক পরিচয় দেই ভালবেসে। আমি তোমাদের ভালোবাসি বাবা। আল্লাহ তোমাদের কাজ সহজ করে দেক, প্রবাস জীবন আরামের করে দেক।আশীর্বাদ বাবারা!
মে দিবসে শ্রমিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজ এই মে দিবসে পৃথিবীর সমস্ত শ্রমিকদের জন্য রইলো এই কণ্ঠশ্রমিক এর হৃদয় থেকে উৎসারিত ভালোবাসা ও লাল সালাম ও মায়ের দোয়া। সূত্র : কালের কণ্ঠ