সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:২৭ pm
আব্দুস সবুর নিজস্ব প্রতিবেদক তানোর:
রাজশাহীর তানোরে এসএসসি ও দাখিল এবং ভোকেশনাল এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাজ থেকে প্রবেশপত্র দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাদ্রাসার সুপার এবং ভোকেশনাল বিদ্যালয়ের প্রধানগন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব টাকা আদায় করছেন।
এমনকি টাকা না দিলে প্রবেশপত্র দিতে চায়নি অনেক প্রতিষ্ঠান এমন অভিযোগ অহরহ। পরিক্ষার্থী পতি নিম্মে ২৫০ থেকে ঊর্ধ্বে ৩৫০ ও মাদ্রাসায় ৪১০ থেকে ৪৯০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
যদিও ফরম পুরনের সময় প্রবেশপত্র, কেন্দ্র ফি ধরে টাকা আদায় করা হয়। তারপরও প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় টাকা নেওয়ার কারনে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবক মহল।
ফলে এসব নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন অভিভাবক থেকে শুর করে পরিক্ষার্থীরা।
সংশ্লষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ৩০ এপ্রিল সারা দেশের ন্যায় তানোরেও এসএসসি ও দাখিল এবং এসএসসি ভোকেশনাল পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এজন্য গত সপ্তাহ থেকে প্রবেশপথ দেওয়া হয়। পরিক্ষার্থীরা জানান, ফরম পুরুনের সময় কেন্দ্র ফি, প্রবেশপত্রে জন্য টাকা নেয়।
কিন্তু পরিক্ষারর জন্য প্রবেশপত্র নিতে গেলে পুনরায় ২৫০-৩০০ টাকা করে আদায় করে।
কিছু বললে পরিক্ষায় সমস্যা সৃষ্টি হবে। উপজেলায় এবারে ৩ হাজার ৬১৭ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করবেন।
স্কুল গুলোতে ২০০-২৫০ ও ৩০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে এবং মাদ্রাসায় ৪১০-৪৯০ টাকা করে তোলা হয়েছে।
পৌর সদর ইসলাহিয়া মাদ্রাসার সুপার মুকসেদ আলী বলেন, প্রবেশপত্রের জন্য কোন টাকা নেওয়া হয়নি।
বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেন্দ্র ফি মানবিক বিভাগের জন্য পরিক্ষার্থী প্রতি ৪১০ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪৯০ টাকা কেন্দ্র ফি নেওয়া হয়েছে।
এমনকি যে সব পরিক্ষার্থী একটি বিষয়ে ফেল করেছিল তাদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি ৪০০ টাকা ধরেছে বোর্ড।
মাদ্রাসা বোর্ডের ওয়েব সাইডে এসব দেওয়া আছে। কোন বাড়তি টাকা নেওয়া হয়নি।
সরনজাই মাদ্রাসার সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিয়মের বাহিরে কোন কিছুই করা হয়নি। যারা এসব বলছে না জেনে।
চাপড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান, যারা ফরম পুরুনের সময় প্রবেশপত্র বা কেন্দ্র ফি দেয়নি তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবেন।
বনকেশর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ বলেন নিয়মের বাহিরে কোন কিছু করা হয়নি।
আপনি প্রবেশপত্র দিতে ৩০০ টাকা করে নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান এসব মিথ্যা কথা।
আমশো পৌরসভা মাদ্রাসার সুপার মুনসুর রহমান ও মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামিল মার্ডির মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেন নি।
অভিভাবকরা জানান, টাকা নেওয়ার ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। কিন্তু কে করবে তদন্ত।
এসএসসি পরিক্ষার্থী ৩ হাজার ১৬৬ জন জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে হলে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকার বানিজ্য হয়েছে।
মাদ্রাসায় ৪৫১ জন পরিক্ষার্থী রয়েছে গড়ে ৪৫০ টাকা করে হলে ২ লাখ ২ হাজার ৯৫০ টাকা আদায়।
ভোকেশনালে ১৩৮ জন ৩৫০ টাকা করে হলে ৪৮ হাজার ৩০০ টাকা আদায় হয়েছে। সব মিলে প্রায় ১৫ লাখ টাকার বানিজ্য করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান, নিয়মের বাহিরে এক টাকাও বেশি নিলে তদন্তে প্রমান কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তা/ অ