রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:২৬ am
আসাদুজ্জামান মিঠু :
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। সরকারি দলের সাংসদ সহ অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা মাঠ গোছাতে নেমে পড়েছেন। তবে, প্রধান বিরোধি দল বিএনপির নেতারা অনেকটা নিরব ভুমিকায় রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা এমপি প্রার্থী মনোনয়নে গণসংযোগ ও মিছিল মিটিং অব্যহত রেখেছেন।
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী সংসদীয় আসনে বর্তমানে ৩ বারের নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
তবে, এই আসনে ওমর ফারুক চৌধুরীর শীর্ষ তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী ২০১৪ সাল থেকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ অব্যহত রেখেছেন।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারও বেশ জোরেসরে মাঠ গোছানো শুরু করেছেন গোলাম রাব্বানী। তিনি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র।
এরই ধারাবাহিগতায় বুধবার সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে তানোর- গোদাগাড়ীতে বিশাল শোডাউন ও কয়েকটি পথসভা করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা হতে আগত তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা ভবনের সামনে উপস্থিত হন। সেখান হতে তানোর গোলাপাড়া হাটের মাঠে পথসভা করেন। এরপর চাঁন্দুড়িয়া হতে গোদাগাড়ীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সরমংলায় একটি পথাসভা করেন। পরে পুনোরাই শোডাউন করে মুন্ডুমালা বাজারে এসে শেষ হয়।
এমপি মনোয়ন প্রত্যাশী রাব্বানী মোটরসাইকেল বহরে ছিলেন, মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান, তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক ও কাঁকনহাট পৌর মেয়র আতাউর রহমানসহ দুই উপজেলার বেশ কয়েক হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমার্থকরা।
মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, গোলাম রাব্বানী একজন ক্লিন এমেজের মানুষ। সবার কাছে তার গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন ক্লিন এমেজের ব্যক্তিকে আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে এমপি হিসেবে মনোনয়ন দিবেন এটাই আমরা সবাই প্রত্যাশা করি।
মেয়র সাইদুর রহমান আরো বলেন, স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর কয়েকটি বির্তক কর্মকান্ড নিয়ে মিডিয়াতে বেশ সমলোচিত তিনি। তাঁর এসব কর্মকান্ডের কারণে সরকারকে বেশ বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। তেমনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের নানা প্রশ্নের মুখামুখি হতে হয়েছে। এছাড়াও তিনি নেতাকর্মীর সাথে ভাল আচারণ করেন না। তাই তাকে এবার মনোনয়ন দিলে নেতাকর্মীরা তা মেনে নিবেন না।
মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা রাজনীতি পরিবারের সদস্য। আমি নিজে ২০ বছর জনপ্রতিনিধিত্ব করেছি। টানা ১৮ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। সেই থেকে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে আমার বেশ সুনাম রয়েছে। তাই দলের কাছে আমার আশা আকাংখা রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে তাঁকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাকে এমপি প্রার্থী হিসেবে মানোনয়ন দেয়া হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আসনটি উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। রা/অ