রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০২ am
আব্দুস সবুর (নিজস্ব প্রতিবেদক) তানোর :
সৌদি আরবে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সূত্রধরে শনিবার মুসলিম উম্মার সর্বোবৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। একমাস সিয়াম সাধনার পরে আসে এই দিনটি।
বরাবরের মত দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সকলে নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ঈদ সালামি নিয়ে থাকেন।
কিন্তু এবারে রাজশাহীর তানোরে আ’লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানরা কর্মীদের ঈদ সালামি না দেবার জন্য মোবাইল ফোন বন্ধ করে একপ্রকার আত্মগোপনে গেছেন।
অথচ দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন এতিমখানা এবং হাফেজ খানা ও ছিন্নমুল মানুষের মাঝে বিগত এক সপ্তাহ ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর পক্ষে পাঞ্জাবীসহ ঈদ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরুণ শিল্পপতি আবুল বাসার সুজন।
যার ফলে উপজেলাবাসীর কাছে মানবিক নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। সবকিছুই তিনি নিজের অর্থায়নে করছেন।
জান গেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোন ইফতার পার্টি করা যাবে না। এর পরিবর্তে অসহায় গরীবদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরনের নির্দেশ দেওয়া হয় দলীয় ভাবে।
সেই মোতাবেক পুরো রমজান মাসজুড়ে উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে ও হাট বাজারে প্রতিদিন সাংসদের পক্ষে ইফতার বিতরণ করেন আবুল বাসার সুজন।
শুধু উপজেলায় নয়, রাজশাহী শহরে নিয়োমিত সাহারী বিতরণ করেছেন ছিন্নমুল মানুষের মাঝে।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, আবুল বাসার সুজন কোন জনপ্রতিনিধি বা দলীয় কোন পদের নেতা নন তিনি।
কোন পদে না থেকেই ইফতার বিতরণ করে আপামর জনতার প্রানের নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। মূলত বিগত পৌর নির্বাচনের আগে সাংসদ সুজনকে তানোরের রাজনীতিতে নিয়ে আসেন।
সাংসদের যতগুলো রাজনৈতিক কর্মকান্ড আছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার সুজনকে রাজনীতিতে নিয়ে আসা বলে মনে করেন আপামর জনতা।
শুধু ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরনের মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি সুজন।
উপজেলার কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে শহরে কিংবা উপজেলা হাসপাতালে আছেন এমন সংবাদ পাওয়া মাত্রই মেডিকেলে ছুটে গিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তিনি।
এছাড়াও মেধাবী শিক্ষার্থীদের লিখাপড়ায় উজ্জিবিত করতে স্মার্ট ফোনসহ নানা কিছু উপহার প্রদান করেছেন।
টাকার অভাবে নামিদামি কলেজে ভর্তি হতে না পারলে সুজন তার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। এখানেই শেষ নয়, উপজেলার অনেকে তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন যা সবার জানা।
উপজেলাবাসী জানান, যারা পদপদবি নিয়ে ও জনপ্রতিনিধি হয়ে আছেন, তাদের এখন লাগাল পাওয়া যায় না। এমনকি তাদের ব্যবহিত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কিন্ত সুজন প্রায় প্রতিদিন এলাকায় আসছেন দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ছিন্নমুল মানুষের খোজ খবর নিচ্ছেন। সুজনের চেয়ে অনেক টাকা ওয়ালা নেতা জনপ্রতিনিধি আছেন কিন্তু মন নেই তাদের।
শুধু টাকা ক্ষমতা থাকলে হয় না, উদার মনের মানুষ ও সহযোগীতার মানসিকতা থাকতে হয়। তানোর পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারের নৈশ প্রহরীরদের ঈদ উপহার দিয়ে থাকেন তিনি।
তিনি সহযোগিতা করে বলেন, আমার পিতা মাতা ও পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আমি যা করি মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করি।
উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, সুজন ভাই একজন বড় মনের মানুষ। তার সম্পর্কে জানতে হলে তার কাছে আসতে হবে।
প্রতিটি সময় তার উপর জনগনের যেভাবে লোড আসে তা সবার পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব । দিনরাত তার একটায় চিন্তা অসহায় দরিদ্র ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে।
এমন বড় মনের মানুষ পাওয়া কষ্টকর ব্যাপার। তার সবকিছুই সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্টির জন্য। তার মা রোজার আগে মারা গেছে। সবাই তার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
তরুণ শিল্পপতি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন জানান, মানুষ মানেই মরনশীল, মৃত্যুর সাদ সবাইকে গ্রহন করতে হবে। বেচে থাকার জন্য ধনসম্পদ টাকা পয়সার প্রয়োজন আছে। কিন্তু মারা গেলে সব থেকে যাবে।
ধনসম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে যদি তার সন্তোষ অর্জন করা যায়, সেটাই বড় পাওয়া। আমি যা কিছুই করছি এমপির পক্ষে মহান রবের সন্তোষ অর্জনের জন্য।
আর মহান আল্লাহর অশেষ রহমত না থাকলে এসব করা যায় না। যদিও আমার একটা ইচ্ছে আছে সুযোগ হলে কিংবা দল চাইলে তানোর পৌর নির্বাচনে নেওয়া।
তবে, না পারলেও আমি জনগণের মাঝে যে ভাবে আছি, মহান রব যেন আমাকে এভাবেই রাখেন।
বিশেষ করে আমার মা মারা গেছেন, সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়ায় মহান রব যেন মাকে জান্নাতবাসী করেন।
আমি যতদিন বেচে থাকব মহান আল্লাহপাক যেন আমাকে সেবা মুলুক কাজ করার তৌফিক দান করেন বলে সবাইকে তিনি অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তা/অ