বুধবা, ১১ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৬:৫৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক সেবন ও সাজাপ্রাপ্তা আসামীকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে পৌরসভার কাউন্সিলরসহ সাতজনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের সাজা দেন। সোমবার বিকেলে পৌরসভা এলাকার বুজরুজ রাজারামপুর হলের মোড়ের পাশের একটি বাগান থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৫ জনকে আটক করা হয়।
এছাড়া মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৫ আসামীকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ছিনিয়ে নেয়। তবে পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ফের আটক করে। এ সময় আসামী ছিনতাইয়ের অভিযোগে একজন কাউন্সিলরসহ দুইজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দুইজনকেও সাজা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রমজান, সাদ্দাম, সুমনসহ মোট ৫ জনকে হাতে নাতে আটক করে রাজশাহী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। পরে তাদের কে আটক করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. নাজমুন নাহারের নিকট নিয়ে যায়। এই সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের মাদক সেবনের জন্য ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে।
এর আগে আটককৃতদের ছাড়াতে জোর তদবির করে স্থানীয় যুবলীগের ও ছাত্রলীগ নেতারা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের তদবিরে কর্ণাপত না করলে এক পর্যায়ে সেখানে চিৎকার-চেঁচামেচি করে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানে আলম ও গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারীর সহযোগিতায় ছিনতাই হওয়ায় ৫ আসামীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কাউসার মাসুম ও ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামকে আটক করে। পরে তাদের এক মাস করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। ওই পাঁচজনের সাজা বাড়িয়ে এক বছর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কল ও এসএমএস দিয়ে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি তার। তবে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানে আলম বলেন, পালিয়ে যাওয়া ৫ আসামীকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের পালাতে সহযোগিতা করায় দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, ঘটনার বিষয়ে রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ শাখার গোদাগাড়ীর অভিযানে দায়িত্বে থাকা সহকারি পরিদর্শক আশরাফুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। আর গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারী ঘটনার বিস্তারিত জানতে গোদাগাড়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রোট নাজমুন নাহারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। আজকের তানোর