শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১১ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
গোদাগাড়ীতে প্রতিবন্ধী সন্তানের ভরণপোষণ দাবিতে স্ত্রীর মামলা

গোদাগাড়ীতে প্রতিবন্ধী সন্তানের ভরণপোষণ দাবিতে স্ত্রীর মামলা

মো. রবিউল ইসলাম মিনাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) গোদাগাড়ী :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ভরণপোষণের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। ওই নারীর নাম মুসলিমা বেগম (৩৮)। তার বাড়ি গোদাগাড়ী থানার রামনগর বোরাপুকুর শিমুলতলা গ্রামে।

মুসলিমা বলেন, প্রায় ১৫ বছর হলো আমার স্বামীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। কেন জানি না শুনেছি তালাক দিয়েছে। কিন্তু এতোদিনেও কোন তালাকের কাগজ আসেনি আমার কাছে। বিয়ের ৭ বছর পর নিজের এক সন্তানের ভরণপোষণের দাবি করে রাজশাহীর আদালতে মামলা করেছেন তিনি ৷

ওই নারীর দাবি, প্রায় ৭ বছর আগে এক সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন স্বামী। তার পর থেকে স্বামীর কোন খোঁজ নেই। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার রামনগর বোরাপুকুর শিমুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। এক সন্তান মেয়ে বেদেনাকে (১৭) নিয়েই চলছে তার জীবনযুদ্ধ । ২০০১ সালে বিয়ে হওয়ার পর থেকে ভালোই চলছিল সুখের সংসার মুসলিমা দম্পতির। কিন্তু বিয়ের দুই বছর পর তাদের জীবনে আসে একটি কন্যা সন্তান। তখনই শুরু হয় অশান্তি। কারণ মেয়ে সন্তানটি হয় প্রতিবন্ধী। তারপরে মুসলিমকে ছেড়ে চলে যান তার স্বামী আব্দুল মজিদ (৪৫)।

তার পিতা আব্দুল রাজ্জাক। তাদের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী সাদ্দিপুর গ্রামে। প্রায় ৭ বছর আগে মুসলিমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে তাদের কোনো ভরণপোষণ দেওয়া হয়নি। তবে, তিনি ভরণপোষণ দেবেন না বলে জানালে মুসলিমা মামলা করেন। কারণ, ভরণপোষণ দেওয়ার মতো যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা আছে আব্দুল মজিদের।

মুসলিমা বলেন, বিজ্ঞ আদালতের বিচারক আমার পক্ষে রায়ে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। প্রথম দফায় মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। আর বাঁকি ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিচ্ছে না। হাজিরার তারিখ আসলে আমি কোর্টে আসলে ভয়-ভীতি দেখায়, যেন আমি কোর্টে যেতে না পারি।

আব্দুল মজিদের এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মজিদ একাধিক বিয়ে করেছে। শুনেছি তার ভাই একটা পুলিশে চাকুরি করে। তার প্রভাব দেখায়, আমরাও ভয়ে থাকি। তবে, এই মেয়েটার সমাধান করে দিচ্ছে না ওই পুলিশ আদর্শ লালচান। একটা সমধাণ করা দরকার। তার পাওনা দাওনা দিলেই ঝামেলা শেষ হয়।

জানতে চাইলে মুসলিমা বেগম বলেন, আমার পৈতৃক ভিটা নেই, সরকারি খাস জমিতে একটি টিনসেট বাড়িতে থাকি। মানুয়ের বাড়িতে ও মাঠে কাজ করে সংসার চালায়। এভাবেই কোনো রকমে দিন কাটছে। আমার বয়স হয়েছে। এখন আর এভাবে চলতে পারছি না। সমাধানের চেষ্টা করেছি। অনেকের হাত-পা ধরেছি সমাধানের জন্য। কিন্তু সমাধান পাইনি। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.