শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪৬ am

সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ
গোদাগাড়ীতে প্রতিবন্ধী সন্তানের ভরণপোষণ দাবিতে স্ত্রীর মামলা

গোদাগাড়ীতে প্রতিবন্ধী সন্তানের ভরণপোষণ দাবিতে স্ত্রীর মামলা

মো. রবিউল ইসলাম মিনাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) গোদাগাড়ী :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ভরণপোষণের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। ওই নারীর নাম মুসলিমা বেগম (৩৮)। তার বাড়ি গোদাগাড়ী থানার রামনগর বোরাপুকুর শিমুলতলা গ্রামে।

মুসলিমা বলেন, প্রায় ১৫ বছর হলো আমার স্বামীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। কেন জানি না শুনেছি তালাক দিয়েছে। কিন্তু এতোদিনেও কোন তালাকের কাগজ আসেনি আমার কাছে। বিয়ের ৭ বছর পর নিজের এক সন্তানের ভরণপোষণের দাবি করে রাজশাহীর আদালতে মামলা করেছেন তিনি ৷

ওই নারীর দাবি, প্রায় ৭ বছর আগে এক সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন স্বামী। তার পর থেকে স্বামীর কোন খোঁজ নেই। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার রামনগর বোরাপুকুর শিমুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। এক সন্তান মেয়ে বেদেনাকে (১৭) নিয়েই চলছে তার জীবনযুদ্ধ । ২০০১ সালে বিয়ে হওয়ার পর থেকে ভালোই চলছিল সুখের সংসার মুসলিমা দম্পতির। কিন্তু বিয়ের দুই বছর পর তাদের জীবনে আসে একটি কন্যা সন্তান। তখনই শুরু হয় অশান্তি। কারণ মেয়ে সন্তানটি হয় প্রতিবন্ধী। তারপরে মুসলিমকে ছেড়ে চলে যান তার স্বামী আব্দুল মজিদ (৪৫)।

তার পিতা আব্দুল রাজ্জাক। তাদের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী সাদ্দিপুর গ্রামে। প্রায় ৭ বছর আগে মুসলিমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে তাদের কোনো ভরণপোষণ দেওয়া হয়নি। তবে, তিনি ভরণপোষণ দেবেন না বলে জানালে মুসলিমা মামলা করেন। কারণ, ভরণপোষণ দেওয়ার মতো যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা আছে আব্দুল মজিদের।

মুসলিমা বলেন, বিজ্ঞ আদালতের বিচারক আমার পক্ষে রায়ে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। প্রথম দফায় মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। আর বাঁকি ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিচ্ছে না। হাজিরার তারিখ আসলে আমি কোর্টে আসলে ভয়-ভীতি দেখায়, যেন আমি কোর্টে যেতে না পারি।

আব্দুল মজিদের এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মজিদ একাধিক বিয়ে করেছে। শুনেছি তার ভাই একটা পুলিশে চাকুরি করে। তার প্রভাব দেখায়, আমরাও ভয়ে থাকি। তবে, এই মেয়েটার সমাধান করে দিচ্ছে না ওই পুলিশ আদর্শ লালচান। একটা সমধাণ করা দরকার। তার পাওনা দাওনা দিলেই ঝামেলা শেষ হয়।

জানতে চাইলে মুসলিমা বেগম বলেন, আমার পৈতৃক ভিটা নেই, সরকারি খাস জমিতে একটি টিনসেট বাড়িতে থাকি। মানুয়ের বাড়িতে ও মাঠে কাজ করে সংসার চালায়। এভাবেই কোনো রকমে দিন কাটছে। আমার বয়স হয়েছে। এখন আর এভাবে চলতে পারছি না। সমাধানের চেষ্টা করেছি। অনেকের হাত-পা ধরেছি সমাধানের জন্য। কিন্তু সমাধান পাইনি। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.